খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬: তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ‘সুন্দরবন বিনাশী’ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, সরকার দেশবাসীর মতামত ও স্বার্থ উপেক্ষা করে বে আইনিভাবে এই চুক্তি করেছে।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
তাঁরা বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য করা হবে।
সমাবেশ থেকে আগামী ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ, সারা দেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং ১৯-২৬ জুলাই ঢাকা ও সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোতে পদযাত্রা-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা প্রমুখ।
সমাবেশে প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, সরকার একগুঁয়েমির মধ্যমে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতীয় স্বার্থে এই চুক্তি সম্পাদন করেছে। আমরা এটা জেনেও এই চুক্তি বাতিল করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অপরাধী হয়ে থাকব।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে এবং সারাবিশ্বে একজনও বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে না যিনি মনে করেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। শুধু কমিশন এজেন্ট ও কোম্পানির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এই দাবি করেন।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আরো বলেন, সরকার যদি মনে করে তার দাবির পক্ষেই বেশির ভাগ জনমত রয়েছে, তাহলে গণভোট দিন। সরকার যদি মানুষকে প্রকৃতপক্ষে ভোট দিতে দেয়, তাহলে আমরা নিশ্চিত শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে।
সমাবেশে অন্য বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পের সুন্দরবন বিধ্বংসী খবর জেনে বিশ্বের সচেতন কোনো ব্যাংকই অর্থ জোগান দিচ্ছে না। অর্থ জোগানে রাজি হয়েছে শুধু ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের জনগণও রাজপথে আন্দোলন করছে।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের জনগণ রুখে দাঁড়ালে সরকারও এ প্রকল্প বাতিল করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকী, মোশরেফা মিশু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মানষ নন্দী, রজত হুদা, শামছুল আলম, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, সুজিত চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।