খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬: প্রায় ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জালড়ে হেরে গেলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই (৫৫)। পুর্ব শত্রুতার জেরে ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও তার লোকজনের হামলায় গুরুতর আব্দুল হাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক সাহেবনগর গ্রামের মৃত ফজলু সর্দ্দারের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হামলায় আহত হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘ দুই সপ্তাহ ধরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মৃত্যুর খরব পেয়ে আসামি আব্দুর রাজ্জাকসহ তার পক্ষের লোকজন গাঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল আজ দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনালের হাসপাতালে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, হামলার ঘটনার পর নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করে ছয় জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছিল নিহতের পরিবার। তিনি মারা যাওয়ায় ওই মামলার সঙ্গে হত্যা মামলার ধারা ৩০২ যুক্ত হবে। তবে তার জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২৬ জুন ছাদের পানি পড়া নিয়ে নিহত আব্দুল হাই এর সঙ্গে ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাকের ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাজ্জাক ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে আব্দুল হাইকে গুরুতর জখম করেছিলেন। তবে হামলার ঘটনা তুচ্ছ হলেও এর পেছনে রয়েছে বিদায়ী ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত বিরোধের প্রভাব। নিহত আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের সমর্থক এবং প্রতিদ্বন্দী হাবিবুর রহমানের সমর্থক ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। এ নিয়ে নিবর্ৃাচনের সময় থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলে আসছিল।