Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

36খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২০ জুলাই ২০১৬: লোকমান আলী, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগর-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের মাত্র ৮কিলোমিটারে রয়েছে ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট বা ছোট আকারে ব্রিজ। কিন্তু এর মধ্যে পাল্লা ব্রিজটি গত মঙ্গলবার রাতে ভেঙ্গে পড়ায় মালবাহি বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বর্তমানে রাণীনগর থেকে সান্তাহার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়ায় কোনমতে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। তবুও কোন নজরদারী নেই নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তাদের। দীর্ঘদিন পূর্বে তৈরি করা এসব কালভার্টের প্রশস্ততা বর্তমান তৈরিকৃত সান্তাহার-নাটোর বাইপাস মহাসড়কের চেয়ে প্রায় আকারে ৪ফুট কম । আবার কোনটি সড়কের চেয়ে অনেক উচুঁ । কিছু কিছু কালভার্টের দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় মাঝের অংশ ভেঙ্গে পড়ায় সড়ক কর্তৃপক্ষ লোহার মোটা পাতের জোড়া তালি দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন। ফলে নিত্য দিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, সান্তাহার ঢাকা রোড থেকে নাটোর পর্যন্ত এই বাইপাস আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় ১০বছর পূর্বে শুরু হলেও রাণীনগর পর্যন্ত সামান্য পরিমাণ কাজ হবার পর অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রয়েছে। কাজের শুরুতে রাণীনগর রেল স্টেশন হতে সান্তাহার ঢাকা রোড পর্যন্ত ৮কিলোমিটার সড়কের কাজ আবার নতুন করে কিছুদিন পূর্বে সম্পন্ন হলেও নতুন করে এইসব ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের কোন কাজই করা হয়নি। এই ৮কিলোমিটার সড়কের সান্তাহার পৌর এলাকার দক্ষিণ মালশন গ্রাম থেকে সান্তাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোড় পর্যন্ত সড়কের মাত্র সাড়ে ৩কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৭টি কালভার্ট। এই ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের মধ্যে পানলা গ্রামের সামনের কালভার্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ । এই কালভার্টের পাটাতন অন্তত ১০বার জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে এ সড়কে অন্য এলাকা থেকে আসা বড় বড় ট্রাকের চালকরা কালভার্ট ও সড়কের মাপ সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে। এছাড়াও রাতের বেলায় স্থানীয় সকল যানবাহনের চালকরা গোলক ধাঁধায় পড়ে যাওায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেই চলেছে।
বর্তমানে আত্রাই-রাণীনগর-নওগাঁ মহাসড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ার কারণে এবং এই বাইপাস সড়কে সান্তাহার ও নওগাঁ যাওয়ার জন্য সময় খুব লাগে বলে বড় বড় মালবাহী ট্রাক সহ ছোট ছোট যানবাহন এই বাইপাস সড়কটিই বেশি ব্যবহার করছে বলে সব সময় ব্যস্ত থাকে এই বাইপাস সড়কটি। তবুও কোন নজরদারী নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।