খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০১৬: জঙ্গি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার ২৮টি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জঙ্গি অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রম প্রতিরোধে বুধবার ২৮টি তফসিলি ব্যাংকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জঙ্গি অর্থায়নে নজরদারি আরো বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।
জানা গেছে, বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘঠিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক হতে বলা হয়। জঙ্গি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জঙ্গি অর্থায়ন কিংবা মানিলন্ডারিং বিষয়ে আরো সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হলে বিদ্যমান আইনে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান।
বৈঠকে বিএফআইইউর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে ২৮টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এ বিষয়ে করণীয় এক বৈঠকে জঙ্গি অর্থায়ন সর্ম্পকে জানতে সন্দেহজনক লেনদেন খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জঙ্গি কর্মকাণ্ডে কীভাবে অর্থ লেনদেন হচ্ছে, কারা এর ম“দাতা, ব্যাংকিং চ্যানেলে এসব অর্থ লেনদেন হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে।
সভায় ব্যাংকগুলোকে জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট কিছু নিদের্শন্ওা দেওয়া হয়। এসব নির্দেশনা পরিপালনের জন্য ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে দেশে কার্যত ৫৬টি তফসিলি ব্যাংককে সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ২৮টি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।