খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০১৬: মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর : দিনাজপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার বারকোণা গ্রামে মানিক মিঞা আদালতে রায় পেয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ২১ বছর পর জমির মালিকানা ফিরে পেলেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফুলবাড়ী পৌরশহরের পশ্চিম গৌরিপাড়া গ্রামের মৃত রাহাত আলী বিশ্বাসের পুত্র মোঃ আব্দুল সাত্তার ও মৃত কপিল উদ্দিন। কপিল উদ্দিন মারা যাওয়ার সময় এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান। তারা হলেন মোঃ জিয়াউল হক মানিক ও মোছাঃ আখিতারা বানু। কিন্তু মোঃ সাত্তার বেঁচে থাকা কালীন তার ভাই কপিল উদ্দিন এর পরিবারকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেন জমির লোভে। ঐ সম্পত্তি থেকে তার মৃত ভাইয়ের ছেলেমেয়েদেরকে বঞ্চিত করেন। ঐ সময় মানিক এর মা মোছাঃ জুলেখা বেগম মানিক নাবালক থাকায় তার পক্ষে বাদি হয়ে ফুলবাড়ী সহকারী জজ আদালতে ০২/০৬/১৯৯৪ ইং তারিখে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। যার মামলা নং ০৪/০৯/২০০১ বাটো। দীর্ঘ ২১ বছর মামলা পরিচালনা করার পর গত ১৫/০৩/২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত মোঃ জিয়ারুল হক মানিক এর পক্ষে নথিপত্র পরীক্ষা করে এক তরফা রায় ঘোষণা করেন। সেই সূত্র ধরে গত ২২/০৭/২০১৬ ইং তারিখে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে আপোষ নামা হয়। গৌরিপাড়া মৌজার জেএল নং ৫৬, দাগ নং-৪৪, রকম ডাঙ্গা, সিএস-১০, এস এ-৬, জমির পরিমাণ ১০০শতক (১ একর) আপোষ নামায় প্রথম পক্ষ মৃত কফিল উদ্দিন এর পুত্র মোঃ জিয়ারুল হক মানিককে ৪১ শতক ও দ্বিতীয় পক্ষ মৃত আব্দুল সাত্তার মন্ডলের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ নজমুল হক, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ মেহেদেী হাসান হিরা কে ৫৯ শতক জমি ভাগাভাগি করে দেন। এই মর্মে উক্ত আপোষনামায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পৃথক পৃথক ভাবে দুই পক্ষ স্বাক্ষর করেন। ফলে দীর্ঘদিনের পারিবারিক জমি জমা নিয়ে যে বিরোধ চলে আসছিল তা এতদিন পর নিষ্পত্তি হলো। এখন সেখানে তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ পরিবার নিয়ে বসবাস করবেন বলে ২ পক্ষই জানান।