খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০১৬: অর্থ পাচারের অভিযোগে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি বানচাল করতে সরকারের পেটোয়া বাহিনী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা শুক্রবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে জঙ্গিদের মতো হামলা চালাচ্ছে। এই হামলা চালিয়ে বাড়িঘরে লুটতরাজ, ভাংচুর ও ধরপাকড়ের এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান, দেশের শান্তি স্থিতি, জঙ্গিবাদ দমন এবং জনগণের নিরাপত্তা বিধান সরকারের মূখ্য লক্ষ্য নয়।’
সরকার জঙ্গিবাদ টিকিয়ে রেখে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায় অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ টিকে থাকলে বিরোধী দলের ওপর ক্রমাগত দায় চাপিয়ে যেতে পারলে এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের জন্য লাভজনক। তাই জঙ্গি দমনে সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ তো ছিলই না, বরং তারা নিজেদের ব্যর্থতাও কখনো স্বীকার করেনি। তাদের এই নির্লিপ্ততায় উগ্রবাদীরা আরো বলশালী হয়েছে এবং শিকড় আরো গভীরে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ে সরকারের রহস্যজনক আচরণে মানুষের মনে যে তীব্র সন্দেহ এবং প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে সেটিকে ঢেকে দিতেই তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে এই সাজা দেওয়া সরকারের অন্ধহিংসার বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী বলেন, ‘দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে তারা বাংলাদেশের বনাঞ্চল ধ্বংস করতে রামপাল বিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। অপমানজনকভাবে ট্রানজিটের নামে করিডোর দেওয়া হয়েছে, তিস্তার ন্যায্য পানির হিস্যা পাওয়া যায়নি। প্রতিদিন সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা অব্যাহত আছে। ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের ব্যাপারে শুল্ক অশুল্ক বাধা বজায় আছে, অথচ বাংলাদেশের বাজার ভারতীয় পণ্যে সয়লাব। এ সমস্ত বিষয়ে সরকার টু শব্দ করে না। নতজানু শাসকগোষ্ঠীর এই সমস্ত কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তায় দেশের মানুষ লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাংগঠনিক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।