খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৪ জুলাই ২০১৬: লালমনিরহাটে সীমান্তবর্তী এলাকায় যে জমিতে এক সময় তামাক চাষ হতো, এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে কমলার বাগান। অল্প ব্যয়ে বেশী লাভ, তাই কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন কমলা চাষে।
স্থানীয় কৃষিবিভাগ বলছে, কৃষকদের এমন সাফল্য, খুশি তারা। প্রয়োজনে সবধরণের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাসও তাদের।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকা হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামের এই জমিগুলোতে একসময় চাষ হতো সবুজ বিষ, ‘তামাকের’। বিভিন্ন তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানির লোভনীয় প্রস্তাবে সহজেই এই বিষ গাছের চাষে আকৃষ্ট হতো কৃষক।
তবে আবহাওয়া এবং জমির ধরণ অনুকূল হওয়ায় এই অঞ্চলের কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন কমলাজাতীয় ফল চাষে। অল্প ব্যয়ে লাভ বেশী হওয়ায় অনেকেই কমলার বাগান তৈরি করে দেখছে লাভের মুখ। শুধু কৃষকরা নয়, কমলা চাষে ঝুঁকছেন স্কুলের শিক্ষকরাও।
কৃষি বিভাগ বলছে, এক একর জমিতে কমলা গাছের চারা রোপণ থেকে শুরু করে ফলন তোলা পর্যন্ত খরচ হয় ২ লাখ টাকা। এই খরচে উৎপাদিত কমলা কমপক্ষে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। অনেকে আবার কমলার চারা তৈরি করে প্রতিটি বিক্রি করছেন একশ থেকে দেড়শ টাকা দরে।
ক্ষতিকর তামাক ছেড়ে কৃষকদের কমলা চাষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। প্রয়োজনে কমলাচাষীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার কথাও বলছে তারা।
কৃষকদের দাবি, ঋণ সহায়তা পেলে এই কমলা চাষ তাদের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর.