খোলা বাজার২৪, রোববার, ২৪ জুলাই ২০১৬: রানীশংকৈল থেকে খুরশিদ আলম শাওনঃ ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বাবা মায়ের অতিচিন্তিত সন্তানদের মধ্যে মেয়েদের মহিলা কলেজ জাতীকরন হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত ও উচ্ছাসিত,কলেজটি চুতুর পাশ্বে ইটপ্রাচী ঘেরা, নিজস্ব হোস্টেল,কম্পিউটার ল্যাব,বিজ্ঞাগানার,খেলাধুলার জন্য বিশাল মাঠ,প্রায় ৪ একর জমির উপর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত, বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী ৯৮১ জন। জেলার মধ্যেবতি উপজেলা রানীশংকৈল, আর এর প্রাণ কেন্দ্র বলতে প্রশাসনিক সমস্ত কাজর্কম যেখানে হয় সে স্থানের নাম শিবদিঘী(এখানে রয়েছে থানা কার্যালয়,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,ডাকবাংলা,ব্যাংকসহ অন্যান্য সব সরকারী প্রতিষ্ঠান)। আর মহিলা কলেজের দুরত্ব উপজেলা সদর হতে কোয়াটার কিঃমিঃ দুরে। সরকার এমন একটি স্থানে অবস্থিত কলেজকে জাতীয়করন করেছে যেখানে পাশ্বেই রয়েছে ভান্ডারা সঃ প্রাঃবিদ্যালয়,কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়, কারিগরি উচ্চ বিদ্যায়,মহিলা কলেজ সীমানা প্রাচী লাগানো বিএন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিএম কলেজ(ভোকেশনালসহ),আরোও রয়েছে মহিলা টেকনিক্যাল কলেজ। অন্যদিকে রয়েছে সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সর্বপরি একটি শিক্ষাবান্দব এলাকায় কলেজটির অবস্থান। এদিকে অভিভবাকদের বক্তব্য আমাদের মেয়েদের মাধ্যমিক শেষে উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে ভাল মানের কলেজে ভর্তির জন্য বাইরে পাঠাতে হতো কত দুঃচিন্তায় থাকতে হতো বর্তমান ছেলেদের যে উৎপাত এখন আর লাগবে না এখন হাতের মুঠোয় মেয়ের উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ, একটি মেয়ে এখানে তার শিক্ষা জীবন শুরু করে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে পড়ালেখার সমাপ্তি করতে পারবেন এই জায়গাটুকুর মধ্যে এ জন্য আমরা আনন্দিন, উচ্ছাসিত আমরা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ। সরকার এবারে জেলায় তিনটি কলেজ সরকারী করন করার ঘোষরা দিয়েছেন যেগুলো হলো বালিয়াডাঙ্গী ডিগ্রী সমিরউদ্দীন কলেজ (ছেলে মেয়ে উভয়) হরিপুর মসলেমুদ্দিন কলেজ(ছেলে মেয়ে উভয়) আর রানীশংকৈল উপজেলায় করেছে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভুমিকাপূর্ণ মহিলা ডিগ্রী কলেজ। মহিলা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ প্রসঙ্গে সাবেক এক প্রবীণ শিক্ষক,আতাউর রহমান(৭০) বলেন, সরকার যে কাঠামোয় মহিলা কলেজ জাতীয়করন করেছেন এতে রানীশংকৈল উপজেলার পাশ্ববতী উপজেলার মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও একটি নিরাপদ এবং স্বাদছন্দে অভিভাবকের দুঃচিন্তাবীহিন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তিনি বলেন যতদুর শুনেছি মহিলা কলেজের নিজস্ব দ্বিতলা বিশিষ্ট কলেজ ক্যাম্পাসে হোস্টেল রয়েছে,তিনি মহিলা কলেজ জাতীয়করন করাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এদিকে কথা হয় হরিপুর উপজেলার দশম শ্রেণী পুড়–য়া কন্যার অভিভাবক আনিসের সাথে তিনি বলেন, রানীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করন হওয়ায় আমরা আনন্দিত আমার কন্যাকে এসএসসি পাশ করিয়ে এবার ঐ কলেজেই ভর্তি করাতে চাই,তবে শুনছি একটি পক্ষ নাকি মহিলা কলেজ জাতীয়করনে বিরোধীতা করছেন যা কাম্য নই। আমাদের প্রতিনিধির অনুসন্ধানে মহিলা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করনে রানীশংকৈল এলাকার অভিভাবক,সুধীমহল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে রানীশংকৈল আ’ স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন বলেন, জননেনত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ যে সিদ্বান্ত নিয়েছেন এতে আমি সাধুবাদ জানাই,আমাদের এলাকার মেয়েরা ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পড়ালেখায় পিছিয়ে যাচ্ছে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাবে আমার বিশ্বাস,আমিও আমার মেয়েকে এবার মহিলা কলেজে ভর্তি করাবো। তিনি বলেন মহিলা কলেজ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবেনা। মহিলা ডিগ্রী কলেজ উপাধ্যক্ষ মহাদেব বসাক বলেন, আমরা এই কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গ্রামের অবহেলিত মেয়েদের উৎসাহ প্রদান করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি। কলেজটি জাতীয়করন হওয়ায় আমাদের উপজেলাসহ পাশ্ববতী উপজেলার মেয়েদের লেখাপড়ার মান আরো ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি মহিলা কলেজকে জাতীয়করন করাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।