Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

48খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০১৬: সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বৃদ্ধিতে ঋণের পাল্লা ভারী হওয়ায় তাতে লাগাম টানতে গ্র্যাচুইটি তহবিলের অর্থ এখাতে বিনিয়োগ একেবারে বন্ধের সিদ্ধান্ত এসেছে।
সোমবার ব্যাংকগুলোকে এক নির্দেশনা পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, গ্র্যাচুইটি (ফান্ড) তহবিলের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনার কোনো সুযোগ নেই।
সুযোগ নেই বলে এখন জানালেও সরকারি-বেসরকারি চাকুরেরা এমনকি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও এতদিন ধরে গ্র্যাচুইটি তহবিলের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলেও তাতে বাদ সাধতে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
নিরাপদ বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্রে মানুষের ঝোঁক থাকায় তার বিক্রি হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ঋণের পাল্লাও ভারী হচ্ছে বলে বিপাকে পড়েছে সরকার।
সেজন্য সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমিয়েও বিক্রি কমানো যায়নি। এবার গ্র্যাচুইটি তহবিলের অর্থ সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগে রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “সঞ্চয়পত্র বিধিমালা, ১৯৭৭ (সংশোধিত ২০০২)এর বিধি ৫ এর উপবিধি (৫) অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের ‘গ্র্যাচুইটি ফান্ড’ এর অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ নেই এবং অতীতেও উক্ত ফান্ডের অর্থ সঞ্চয়পত্র খাতে বিনিয়োগের সুযোগ ছিল না।
“বর্ণিত বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারিসহ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাচুইটি ফান্ডের অর্থ দ্বারা সঞ্চয়পত্র ক্রয়/বিনিয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই।”
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, “গ্র্যাচুইটি তহবিলের টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ না থাকলেও অনেকেই এই অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনছেন- এমন সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পরই এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।”
গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ে ৩০ হাজার ৯২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই অংক ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
বিক্রি বাড়ায় ২০১৫ সালের ২৩ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ করে কমায় সরকার। এরপরও বিক্রি কমেনি।
পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিনের মন্দা এবং ব্যাংকগুলোর আমানতের সুদের হার কমায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক জায়েদ বখত।