খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬: জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। আলোচনায় স্থান পাবে নিরাপত্তা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে।
বলা হয়েছে, আজ বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বৈঠকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে নিরাপত্তার ইস্যুকে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈঠকে দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বিশেষ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে। কারণ গুলশানে জঙ্গি হামলার পর উভয় দেশই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
বৈঠকে অংশ নিতে আজ বুধবার ভারতে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দুপুরে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মূলত নিরাপত্তার ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসবেন। তিন দিনব্যাপী এই বৈঠক ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আট সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এই প্রতিনিধিদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান ছাড়াও থাকবেন পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, কোস্ট গার্ডের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রকিবুর রহমান প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারত বরাবরই বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে খুব বিবেচনায় রেখেছে। এই অবস্থায়, জঙ্গি ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চায় ভারত। এর ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি সংশোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সহজে অপরাধী হস্তান্তরের লক্ষ্যে এই সংশোধন করা হতে পারে। এখন অপরাধী হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তবে বন্দি বিনিময় চুক্তি সংশোধন হলে আদালতের রায়ের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। খুব দ্রুত দুই দেশ বন্দি বিনিময় করতে পারবে।