Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

jhenaidahখোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬: ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ার কুখ্যাত মাদক স¤্রাট রবি বুধবার ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০৪ বোতল ফেনসিডিল। মাদক স¤্রাট রবি চাকলাপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। এর আগেও রবি পুলিশের হাতে ৪ বার মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিল। ঝিনাইদহ থানা হাজতে সাক্ষাতকালে রবি সাংবাদিককে জানায়, তার সাথে ঝিনাইদহ থেকে বদলী হওয়া ডিবি পুলিশের এক এএসআই জড়িত।

সেই এএসআইয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রবি জানান, দর্শনার এক মাদক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তার কাছে ফেনসিডিলের চালান পৌছে যায়। উদ্ধার করা ওই ফেনসিডিল সেই এএসআই পৌছে দেয় বলে রবি জানায়।
রবি এও অভিযোগ করেন, আমি মাদক ব্যাবসা ছেড়ে এনজিও করছিলাম। কিšু‘ ওদের কারণে মাদক ব্যাবসা ছাড়তে পারিনি। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিককে জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে রবিকে চাকলাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ১০৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। বুধবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

আজবাহার আলী শেখ আরো জানান, যে এএসআইয়ের নাম আপনারা বলছেন তিনি আমাদের এখান থেকে অন্যত্র বদলী হয়ে গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছমির উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও কোলা গ্রামের মৃত সৈয়দ মালিথার ছেলে রেজাউলকে ইয়াবাসহ আটক করে। কিন্তুু তাদের বুধবার থানায় গিয়ে পাওয়া যায় নি। তাদের আটকের কথাও পুলিশ স্বীকার করেনি। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম সাদা পোশাকে এদের আটক করে বলে প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়।
তবে এসআই আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার আনিসের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকবার সেকেন্ড অফিসার আনিসকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায় নি। এই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিতে দর হাকানো হয় বলেও অভিযোগ।
ঝিনাইদহের হলিধানী এলাকায় গিয়ে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, রাতেই মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ও রেজা ফিরে আসে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে সারা জেলায় ইয়াবা ও ফিনসিডিল ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে ব্যস্ত থাকার সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। যে ভাবে মাদকের জোয়ারে ঝিনাইদহ ভাসছে, সে ভাবে উদ্ধার হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বড় বড় চালান পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাচার হচ্ছে। সমাজের সাদা পোশাকের অতিশয় ভদ্র লোক এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। সহজে বহর করা যায় বলে ইয়াবা ব্যবসা এখন লাভজনক হয়ে উঠেছে।

এদিকে পুলিশের কিছু অসাধু ব্যক্তি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। বেআইনী ভাবে সাদা পোশাকে এই কারবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরব্যাপী সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা চষে বেড়াচ্ছেন। দায়িত্ব পালনের সময় পোশাক পরার বিধান থাকলেও কতিপয় পুলিশ মাজায় পিস্তল আর হ্যান্ডকাপ নিয়ে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানায় বুধবার গিয়ে দেখা গেছে বেশির ভাগ পুলিশ কর্মকর্তা পোশাক বিহীন। পোশাক বাদেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন বিনা পোশাকে দায়িত্ব পলনের কারণে শহরের অপরাধীরাও এমন পন্থা অবলম্বন করতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
এতে কওে নতুন নতুন অপরাধ সাংঘটিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অনেক সমালোচিত হচ্ছে। ফলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পোশাক পরে দায়িত্ব পারনের নির্দেশ দিয়েছেন।
সাদা পোশাক নিয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই পোশাক পরার বিধান রয়েছে। আর দায়িত্বের বাইরে থাকলে সাদা পোশাকে থাকলে অসুবিধা নেই। তিনি জানান, আমি কোটচাঁদপুরের একটি জরুরী সভায় রয়েছি। ঝিনাইদহে ফিরে কথা হবে।