
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব জাসাস-ঢাকা মহানগর দক্ষিণকে উপযুক্ত সময়ে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর য়ড়যন্ত্রমূলক রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,যে মামলায় তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সাজা ও জরিমানা’র রায় দেওয়া হয়েছে তা সাজানো. মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং এর সাথে তারেক রহমান এর কোন সম্পৃক্ততা নেই। জনাব তারেক রহমান সাবলেমেন্টারী ফান্ডের মাধ্যমে ১৯ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন এবং পরে তা পরিশোধও করেন। এখানে কোন মানি লন্ডারিং হয় নি। এই সরকার প্রধান অতি তাড়াহুড়া করে নিজের ১৫ টি মামলা তুলে নেয় অন্যদিকে জনাব তারেক রহমান এর মামলা বিচারিক আদালতে বেখুসুর খালাস রায় পাওয়ার পরও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হাইকোর্টের মাধ্যমে সাজানো রায় দেয়। আমি মনেকরি পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে স্ব-উদ্যোগে তারাই এই মামলা তুলে নিবে এবং এমনকি মধ্যবর্তী সরকার দ্বায়িত্ব গ্রহন করলে সাথে সাথে এই মামলা তুলে নিবে। তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলাম আবার একবার হেরেওছিলাম। কিন্তু ২০০৭ সালের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনে যখন আমরা জিতব জিতব ভাব তখন আওয়ামীলীগ ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে দেশে ১/১১ এনে তথাকথিত নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে-যা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে এখনও বিদ্যামান। দেশ বন্যায় ভাসছে সরকারের সে দিকে কোন নজর নেই, নজর শুধু বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর সাজানো, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া। আর বর্তমানে জঙ্গি একটি ব্যাধি। এটাকে রুখতে হলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা দরকার এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই জাতীয় ঐক্যেরই ডাক দিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও সুশীল সমাজের সাথে কথা বলছি; তারা দেশনেত্রীর ঐক্যের আহবানে সমর্থন জানিয়েছেন এবং আমরা সাড়াও পাচ্ছি। তারা এও বলেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে বড় প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো। অন্যদিকে বর্তমান সরকার ঐক্য হয়েছে বলেছেন। তারা ১৪ দলের সাথে ঐক্য করেছেন এবং এই ১৪ দলের সাথে জনগণ নেই। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসতে চায় না, ফলে ভোটাধিকার হরন করেছে। এমন কি স্থানীয় ইউ পি নির্বাচনেও জনগণের ভোটাধিকার হরন করে মামলা, ভয়ভীতি, জবর-দখল নির্বাচন করে জিতেছে এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা জাতীযতাবাদী শক্তি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জনগণের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমের নির্বাচন চাই। তাই আমরা যখন আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দেই তখন ভোটারবিহীন এই সরকার সহিংস, আগুন-সন্ত্রাস ইত্যাদি মিথ্যাভাবে এনে বিরোধীদলকে দমানোর চেষ্টা করে ভীত হয়ে।কেননা জনগণ তাদের সাথে নেই। কিন্তু আমরা কখনই রাজপথ রঞ্জিত চাই না, আমরা গণতান্ত্রিকধারা বজায় রেখেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগোতে চাই, নির্বাচন চাই। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ রোধে এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরে এনে গণতান্ত্রিকধারা বজায় রাখতে দেশনেত্রীর এই জাতীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন-অবৈধ, ভোটারবিহীন এই সরকারের সাথে ৭০ ভাগ জনগণ নেই। তাই ভীত হয়ে নির্লজ্জ, মিথ্যাভাবে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে য়ড়যন্ত্রমূলক রায় দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।