Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

37খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬: রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সফল অভিযান নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি তাঁর বক্তব্য দেন।
রাজধানীর জনবহুল এলাকা কল্যাণপুরে গত সোমবার রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানকার একটি বাসায় এক ঘণ্টার অভিযানে নয়জন নিহত ও একজন আহত হন। পুলিশ বলছে, তাঁরা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। যদিও তাঁরা নিজেদের আইএস দাবি করেছিলেন।
মনিরুল ইসলাম তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘“কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড নিক্ষেপে পুলিশের ৪ কর্মকর্তার মৃত্যু, আহত ৪২ কর্মকর্তা, তিন জঙ্গি গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে!” দুঃখিত, বন্ধু, এ রকম একটা খবর যদি আপনি আশা করে থাকেন, তাহলে আমরা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি! প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আপনি যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমরা সত্যিই দুঃখিত!’
পুলিশের এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেছেন, ‘“নাম-ঠিকানা না জেনে জঙ্গি বলছেন কীভাবে?” “জঙ্গিরা এ রকম পাঞ্জাবি, কেডস পরে ঘুমাতে গিয়েছিল কেন?” “চারটি পিস্তল দিয়ে কীভাবে সারা রাত মুহুর্মুহু গুলি চালানো সম্ভব?” “কেন তাদের জীবিত ধরা গেল না?”—এ রকম অনেক যৌক্তিক প্রশ্ন কারও মনে আসতেই পারে।
‘আমি যদি বলি আপনি বুঝেও না বোঝার ভান করছেন, আপনি খণ্ডাবেন কী করে? সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে আলোচনা হচ্ছে যে প্রতিবেশীরা বলছে, ওই বাসার লোকেরা সারা রাতই কথিত জিহাদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে, তাদের রুমে কথিত আইএসের পতাকা পাওয়া গিয়েছে, প্রচুরসংখ্যক উগ্রবাদী বইপুস্তক পাওয়া গেছে। তারপরও এরা জঙ্গি কি না, তা বোঝার জন্য কি রিসার্চের প্রয়োজন আছে?
‘আনুমানিক রাত একটার কাছাকাছি পুলিশের প্রথম দলটি বাসাটিতে নক করে এবং প্রথম দফা সংঘর্ষের পরে প্রায় সারা রাত বিল্ডিংটা কর্ডন করে রাখা হয়। চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয় ভোর ৫.৫০-এর দিকে। এত দীর্ঘ সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল কি না, এই পোশাক পরার সময় পেয়েছিল কি না, তা বোঝার জন্য বুদ্ধিজীবী হওয়ার প্রয়োজন আছে কি না, দয়া করে ভেবে দেখবেন কি?
‘সারা রাত মুহুর্মুহু গোলাগুলি হয়েছে—এ রকম কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি যতটুকু জানি, যখনই পুলিশ বাসাটিতে ঢুকতে চেষ্টা করেছে, ততবারই গুলি চালানো হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান হয়েছে এক ঘণ্টার কাছাকাছি। ওই সময়েই মূলত চূড়ান্ত গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আপনার বিশ্বাস, এ তথ্য আপনার অজানা নয়। তাহলে কেন এ রকম প্রশ্ন তুলছেন? পুলিশের সাফল্য মানতে পারছেন না তাই তো!
‘আপনি তো সবজান্তা, অথচ আপনি এই ধরনের অপারেশনগুলোর ইতিহাস জানেন না। দেশে এবং দেশের বাইরে কোথায় এই ধরনের অপারেশনে কতজন জীবিত গ্রেপ্তার হয়েছে, জানালে বাধিত হব।
‘আসলে পুলিশের কেউ মারা যায়নি কিংবা কেউ গুরুতর আহত হয়নি—এতেই তো আপনার যত আপত্তি তাই না, বন্ধু!’