খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬: রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিশ। এসব ব্যক্তির নাম, ছবি ও পাসপোর্ট নম্বর বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রকাশ করে তাঁদের ঘরে ফিরে আসতে পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
এই নিখোঁজের তালিকায় ছিল ঢাকার সাজ্জাদ রউফ অর্কের (২৪) নামও। সেই অর্ক গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কল্যাণপুরে পুলিশ ও সোয়াটের যৌথ অভিযানে নিহত নয় ‘জঙ্গি’র মধ্যে একজন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁর পরিবার।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, অর্ক ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তৌহিদ রউফের ছেলে। তিনি বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজে কল্যাণপুর অভিযানে নিহত নয়জনের ছবি প্রকাশের পর সেখানে অর্কের ছবি শনাক্ত করেন তাঁর অভিভাবকরা। পরে তাঁরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ রউফ অর্ক ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহত নয়জনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেল। অন্য দুজন হলেন চট্টগ্রামের সাব্বিরুল হক কনিক এবং নোয়াখালীর জুবায়ের হোসেইন। ডিএমপি প্রকাশিত ছবি দেখে এই দুজনের পরিবারও পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত সাততলা ভবনটিতে অভিযানে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ভবনের পঞ্চম তলা থেকে জঙ্গিরা ককটেল ছোড়ে। পরে ভবনটির আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
জাহাজ বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলের আশপাশের সবকটি সংযোগ সড়কেও ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।
রাতভর পরিকল্পনার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টিসিক্স’। ঘণ্টাখানেক মুহুর্মুহু গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন।
অভিযান শেষে ওই বাড়ি থেকে নয় ‘জঙ্গি’র লাশ উদ্ধার করা হয়।