খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬: বড় মর্যাদা পেলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। শ্রীলঙ্কার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি’র হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হলো।
এ বছর চারজন সাবেক ক্রিকেটারকে আইসিসি’র এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা হলেন, ইংল্যান্ডের সাবেকফাস্ট বোলার জর্জ লোহম্যান, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক আর্থার মরিস, অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক কারেন রলটন ও শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ক্রিকেট ইতিহাসে অরবিন্দ ডি সিরভা, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে ও চামিন্দা ভাসের মতো ক্রিকেটার পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সবার আগে আইসিসি’র হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হলো মুরালিধরনের নাম।
১৯৯২ থেকে ২০১১- এই ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে বিশ্বের তাবত ব্যাটসম্যানদের ঘুম হারাম করেছেন মুরালিধরন। টেস্ট এবং ওয়ানডে দুই ফরমেটেই সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক তিনি। টেস্টে ৮০০ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে মুরালি। ৭০৮ উইকেট নিয়ে তার পরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। আর ওয়ানডেতে ৫৩৪ উইকেট নিয়ে সবার শীর্ষে মুরালিধরন। ৫০২ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় নম্বরে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। ক্রিকেট ইতিহাসে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১০০০ হাজারের বেশি উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব আছে মাত্র দু’জনের। সেখানেও সবার ওপরে মুরালি। এই তিন ফরমেটে তার মোট উইকেট ১৩৪৭। ১০০১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেন ওয়ার্ন। আইসিসি’র হল অল ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয় কিংবদন্তিসম ক্রিকেটারদের। টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে এতদিন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ের কোনো খেলোয়াড় এই তালিকায় ছিলেন না। কিন্তু শ্রীলঙ্কা এবার ওপরের কাতারে নাম লেখালো। বাদ থাকলো শুধু বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। আইসিসি’র হল অব ফেমের তালিকায় আছেন ইংল্যান্ড থেকে সর্বোচ্চ ২৬ জন ক্রিকেটার। আর অস্ট্রেলিয়া ২১ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে আছেন ১৯ জন। প্রতিবেশি দুই দেশ পাকিস্তান ও ভারত থেকে আছে যথাক্রমে ৫ ও ৪ জন। এছাড়া নিউজিল্যান্ড থেকে ৩ ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আছেন ২জন। মুরালিকে নিয়ে হল অব ফেমের তালিকায় মোট খেলোয়াড় হলেন ৮০ জন।