খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০১৬:জেলার ৫১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে এবং জেলার ই-সেবা কেন্দ্রে সেবা গ্রহণকারী নারী-পুরুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।সদ্যসমাপ্ত অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ২ শত ৫৯ জন মানুষ এই সেবাকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করেছে।
তথ্য-প্রযুক্তি বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং তথ্য-প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তোলা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। সরকারের এই নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর হতে পর্যায়ক্রমে পিরোজপুরসহ দেশের সকল ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়। এছাড়া প্রতিমাসে গড়ে ৪ সহ¯্রাধিক সেবাগ্রহণকারী বিভিন্ন ধরনের সেবার সুযোগ নিচ্ছে ইউনিয়নে বসেই, যা মাত্র ৫ বছর আগেও ছিল অকল্পনীয়।
পিরোজপুর জেলার ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলো হতে গত অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৩শত ১০ জন সেবা গ্রহণ করেছে। এসব কেন্দ্রে গিয়ে পল্লী অঞ্চলের মানুষ এখন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, চাকরির আবেদন, অনলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কম্পিউটার কম্পোজ, ভিডিও চ্যাটিং, চিঠিপত্র ডকুমেন্ট স্ক্যানিং, কৃষি স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ গ্রহণ ছাড়াও ছবি তোলা, লেমেনেটিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা গ্রহণ করছে।
এদিকে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্র থেকে জমির পর্চাসহ এই কার্যালয়ের সকল ধরনের সেবা ঝামেলামুক্ত উপায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্র থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৩ সহ¯্রাধিক মানুষকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পর্চার সই মোহরসহ বিভিন্ন ধরনের সেবাগ্রহীতার সংখ্যা গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থাপিত আইসিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বাসস’কে জানান, তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সেবা চালু হওয়ায় এই জেলার জনসাধারণ এখন স্বল্পমূল্যে এবং নির্দিষ্ট সময়ে উন্নতমানের সেবা কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই পাচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনে সৃষ্টি হয়েছে গতিশীলতা। এছাড়া ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে উদ্যোক্তারা গত অর্থ বছরে কোটি টাকা উপার্জন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।