
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রায়হানের পরিচয় তুলে ধরেন।
তিনি জানান, রায়হানের বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ইতাকুমারি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে। তিন বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রায়হান যাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তারাই গত ১ জুলাই গুলমানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করেছে। ওই ঘটনার ২৫ দিন পর কল্যাণপুরে রায়হানের আস্তানার সন্ধান পায় এবং সেখানে অভিযানে নিহত হয় নয় জন। ওই হামলাকারীরা ছিলেন নিবরাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মীর সামীহ মোবাশ্বের, খায়রুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। এদের তিন জন রাজধানীর উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং শেষের দুই জন বগুড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তারা দুজনই নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান।
কল্যাণপুর অভিযানের পরদিন গত বুধবার রাতে নিহত নয়জনের মধ্যে সাত জনের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করে পুলিশ। তবে দুজনের নাম-পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। তবে পরদিন সকালে পুলিশ রায়হানের বিষয়ে নিশ্চিত হয়।
রায়হানের পরিবার কৃষিকাজ করে। কল্যাণপুরে তিনি নিহত হয়েছেন-এই খবর প্রকাশের পর তার বাবা-মা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি বাড়ি আসেননি। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল বা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা এলাকাবাসী তা জানাতে পারেননি।