Wed. Oct 22nd, 2025
Advertisements

6খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬: ৩৭২কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ৬ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে পড়ে যোগাযোগবিচ্ছিন্ হয়ে যাওয়ায় বানভাসী মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে নিরাপদ স্থানে যেতে পারছেন না। কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক তলিয়ে পড়ায় ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত এবং এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ আশ্রয় নিতে পারছেন না। আমন বীজতলা, পাট ও শাক-সবজি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতাও জুটছে না অনেকের ভাগ্যে।

দুধকুমর গঙ্গাধর ব্রহ্মপুত্র ফুলকুমর সংকোষ ধরলা তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমায় প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, রাজীবপুর এবং সদর উপজেলার ২ শতাধিক চর এবং দ্বীপচরের প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট ও গবাদি পশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।
শঁৎরমৎধস ভষড়ড়ফ ২যাত্রাপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গরু ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব মোল্লা বলেন, সরকারি হিসাবে যোগাযোগের রাস্তা ৩৭২ কি.মিটারের মধ্যে পাকা রাস্তা ২৭ কি.মিটার ও কাঁচা রাস্তা ৩৪৫ কি.মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ২০০৭ সালের পর কোন বন্যায় পানি এমন উচ্চতায় উঠেনি। ভয়াবহ বন্যায় ২০০ কি.মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২ কি.মিটার বাঁধ। তবে দ্রুত তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।
শঁৎরমৎধস ভষড়ড়ফ ১কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো: নুরুল আমিন বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দ্রুত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।