Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬: চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংককে সাহায্য করতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলেছে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ফেব্র“য়ারিতে ওই অর্থ নিউ ইয়র্ক ফেডে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নিয়ে ফিলিপাইনে ট্রান্সফার করে অজ্ঞাত হ্যাকাররা। খবরে বলা হয়, নিউ ইয়র্ক ফেডের এ সিদ্ধান্তের ফলে চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে ঢাকার প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হলো।
২৩শে জুন ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেনারেল কাউন্সেল এলমোর ও. ক্যাপুলের কাছে চিঠি পাঠান নিউ ইয়র্ক ফেডের জেনারেল কাউন্সেল থমাস বাক্সটার। চিঠিতে এলমোরকে ‘চুরি হওয়া স¤পদ পুনরুদ্ধার ও ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টার সমর্থনে যথাযথ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে বলেছেন থমাস বাক্সটার। তিনি আরও লিখেছেন, ম্যানিলা-ভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পে (আরসিবিসি) রক্ষিত একাধিক অ্যাকাউন্টে চারটি ট্রান্সফারের মাধ্যমে ওই অর্থ চলে যায়। যে পেমেন্ট ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে এ ট্রান্সফার করা হয়, তা ‘বাণিজ্যিকভাবে যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা প্রক্রিয়া’য় অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু এ ইন্সট্রাকশন চুরি করা ক্রিডেনশিয়ালস ব্যাবহার করে পাঠিয়েছিল কিছু ব্যাক্তিবিশেষ।
খবরে বলা হয়, এ চুরির ঘটনায় মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই’র প্রস্তুতকৃত একটি প্রতিবেদন নিউ ইয়র্ক ফেডের সঙ্গে ভাগাভাগিতেও রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরাসরি জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য দিয়েছেন। মার্কিন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা এ প্রতিবেদন চেয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে বলে আসছিলেন।
ফিলিপাইনকে পাঠানো চিঠি ও ফায়ারআই প্রতিবেদন চাওয়া স¤পর্কে তৎক্ষণাৎ কোন মন্তব্য করেনি নিউ ইয়র্ক ফেড। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এমন ঘটনায় তারা মন্তব্য করবে না। এক বিবৃতিতে আরসিবিসি বলেছে, ‘যে পক্ষরা চূড়ান্তভাবে ওই অর্থ পেয়েছে’ তাদের কাছ থেকে তা পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টাকে তারা সমর্থন করে। প্রসঙ্গত, আরসিবিসি ব্যাংকে ট্রান্সফার হওয়ার পর চুরি হওয়া অর্থ মূলত ফিলিপাইনের ক্যাসিনোর মাধ্যমে অন্যত্র পাচার হয়ে যায়। কোন হদিস না পাওয়ায় ওই অর্থ অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া এখন স্থবির হয়ে আছে।