Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

42খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬: বাংলাদেশের বোলিংয়ের মূল শক্তি ছিল স্পিন। ছবিটা বদলেছে গত কয়েক বছরে। পেস-আক্রমণ দিয়ে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। দলে আছে রুবেল হোসেন-মুস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদদের মতো কিছু ফাস্ট বোলার। যাঁরা পথ দেখাবেন সামনে থেকে, হবেন তরুণদের আদর্শ। সাত দিনের জন্য বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের পেসারদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে আসা পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ মনে করেন এমনটাই।
পাকিস্তানে ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, কিংবা আকিব জাভেদ নিজেও আদর্শ হয়ে আছেন বহু তরুণ পেসারের কাছে। বাংলাদেশ অবশ্য এমন ফাস্ট বোলার খুব বেশি পায়নি। আকিব মনে করেন, ‘সামনে আদর্শ না থাকায় এমনটা হয়েছে।’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক এই কোচ বিষয়টির একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘আপনি যদি কোনো ফাস্ট বোলারের ছবি কিংবা ভিডিও দেখান, যদি সে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে না পারে তবে সে তরুণ পেসারদের অনুপ্রাণিত করবে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের এমন পেসার আছে। আপনাদের তিন বোলার আছে যারা তরুণদের দেখাতে পেরেছে তারা জোরে বল করতে পারে। এটা শুরু মাত্র। আমাদেরও এমন ছিল। কিন্তু যখন আদর্শ হিসেবে ইমরান এলেন, আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গতির ঝড় তুলে বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে সমৃদ্ধ করেছেন রুবেল-তাসকিনরা। আর গতির সঙ্গে কাটারের কাঁটা যোগ করে ব্যাটসম্যানদের কাছে দুর্বোধ্য এক বোলার হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই পেসত্রয়ীকে নিয়ে আকিবের ভবিষ্যদ্বাণী, ‘রুবেল, তাসকিন ও মুস্তাফিজ এসে পড়ায় আগামী কয়েক বছরে আপনারা আরও ফাস্ট বোলার পাবেন। আপনাদের নিজেদের আদর্শ আছে এখন।’
আকিব জাভেদের হয়তো মাশরাফি বিন মুর্তজার নামটা মনে পড়েনি। অথচ এই সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব তরুণ পেসারের স্বপ্নদ্রষ্টা মাশরাফি। অবশ্য বারবার তিনি চোটে পড়েছেন, তাঁর দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাতবার। এতে শুরুর গতিটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। কিন্তু মাশরাফি দেখিয়ে দিয়েছেন পথটা। সেই পথ ধরেই এসেছেন রুবেল-মুস্তাফিজরা। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই রুবেলদের দেখে আসবে আরও প্রতিভাবান পেসার।