খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬: .এইচ.লিটন পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও: ঃ পীরগঞ্জ উপজেলার সাগুনী ও থুমনিয়া বিশাল ভূমির শালবন নদীর ভাঙনে বিলিন হতে চলেছে। ভাঙন ঠেকাতে দীর্ঘদিনেরও নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে টাঙ্গন নদী পাড়ের ৫’শ একরের থুমনিয়া এবং ২’শ একরের সাগুনী শালবন এলাকা। শালবনের ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিবছরই নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে শালবনের গাছ নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। সে গাছগুলো অবৈধ পন্থার লোকজন রাতের আধাঁরে লোপাট করে কাঠ ফার্মেসীতে বিক্রয় করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সাগুনী শালবনের ব্রিজ সংলগ্ন ও দক্ষিণাংশে এবং থুমনিয়া শালবনের উত্তর-পশ্চিম অংশে পানির প্রবাহে ভেঙ্গে পড়ছে পাহাড়। ঐ পাহাড়ের গাছগুলো পর্যায়ক্রমে পানির ¯্রােতে ভেসে যাচ্ছে। ফলে উজাড়ও হচ্ছে শালবন। স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পাহাড় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে শালবনটির গাছপালা ও জায়গা একসময় টাঙ্গন নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রতি বছরই পানির প্রবাহে পাহাড় ভাঙছে আর শালবনের জায়গা কমছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানায় এক যুগ পূর্বে শালবন থেকে অনেক দূরে ছিল টাঙ্গন নদী, আস্তে আস্তে নদীটা বনের ভেতরে চলে এসেছে।’ শ্রাবণ মাসের শুরুতেই নদীর ধারে বেশ কিছু শালগাছ পানিতে উপড়ে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা বন বিট কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন গত বছরের এপ্রিল মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে সার্ভেয়ার এসে গাইড বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে যান। এখন পর্যন্ত আর কোনো সাড়া মেলেনি। পানিতে উপড়ে পড়া গাছগুলো চুরি হয়ে যাওয়ার কথা জানতে চাইলে ঐ বন বিট কর্মকর্তা বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আমি নদী ভাঙনের বিষয়টি উত্থাপন করেছি। সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।