খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০১৬: উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারতের উপত্যকা নগরী জম্মু-কাশ্মীর। কারফিউ অগ্রাহ্য করে শুক্রবার কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের।
নতুন করে এই সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকজন জওয়ানসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কাশ্মীরের অনন্তনাগ, সোপিয়ান, বিজবেহরা, বান্দিপোরা, বারামুলা, গান্দেরবল, সোপোর, কঙ্কনসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, এ দিন নাওহাট্টার জামিয়া মসজিদমুখী একটি মিছিল যাওয়ার সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, মধ্যপন্থী মিরওয়াইজ ওমর ফারুক রয়েছেন। এর পরই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বারামুলার রোহামা এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সোপিয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুলগাম, পুলওয়ামা ও সোপিয়ান অঞ্চলে নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে শ্রীনগর শহরেও।
গত ৯ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উপত্যকা। টানা হিংসা ও অশান্তির পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে এক মন্তব্যে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, কাশ্মীরের কয়েক জায়গায় চরমপন্থী মানসিকতার কিছু মানুষের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।