খোলা বাজার২৪, রোববার, ৩১ জুলাই ২০১৬: : মুন্সীগঞ্জে বর্ষার ভরা মৌসমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পদ্মার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।পাহাড়ী ঢলের পানি সেই সঙ্গে অব্যাহত বৃষ্টির পানি এখন পদ্মা পাড়ের বিপদ সীমার ৩০ সেন্টি মিটারে অবস্থান করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দু’একদিনের মধ্যে বন্যার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এতে করে পদ্মা পাড়ের নি¤œাঞ্চলের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। লৌহজং উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে পদ্মার পাড়ের গ্রাম ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী জমির ফসলী মাঠ। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে, জেলার মেঘনা, ধলেশ্বরী এবং ইসামতি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে রবিবার সকালে পদ্মা ছাড়া বাকি নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত- ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে গত-কালের চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার বেশী। এ অঞ্চলে টানা কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী (ভাগ্যকুলপয়েন্ট) জয়নাল আবেদিন জানান, ভাগ্যকুল পয়েন্টে পদ্মার পানি ৫২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীর ঘেষা ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।এছাড়া জেলার শ্রীনগর, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পদ্মার নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে পানি আসতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট আর ফসলী ধানের জমি।
এমতাবস্থায় নদীতীরবর্তী লোকদের পাশে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা নদীতীরবর্তী গ্রামবাসীদের।