Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

9kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬: ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন হত্যা মামলায় এক আসামির ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া হাইকোর্টের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। গত ১১ মে আপিল শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলামের (শহীদ) ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এ ছাড়া শাজনীনদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, হাসানের সহকারী বাদল এবং গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীনকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালতে আসামিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
চার বছর পর ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলাম (শহীদ), হাসানের সহকারী বাদল এবং গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডলকেও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
পরে এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। তবে ফাঁসির আদেশ পাওয়া শনিরামকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন ফাঁসির আদেশ পাওয়া চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন।
২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন।