খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬: শাহিন: নরসিংদীর মাধবদীতে অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক কেন্দ্র স্কুল সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপের অভাবে কোন প্রতিকার মিলছেনা এমনি অভিযোগ করেন মার্কেটের ব্যবসায়িরা। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) গভীর রাতে আবারো মার্কেটের নগর বাউল, সততা বস্ত্রালয় ও ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স সহ তিনটি দোকানের সাটার ও তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়িরা জানান, মাধবদীর স্বণামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সতী প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীন এ মার্কেটটির নীচতলা ও ১ম তলায় প্রায় আড়াইশটি তৈরী পোষাক, জুতা ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের দোকান রয়েছে। এছাড়াও মার্কেটটির তৃতীয় তলায় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সহ ৫৯টি ফ্ল্যাট থাকলেও এর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে মাত্র ৪ জন নিরাপত্তা রক্ষী। এরা সবাই বয়সের ভারে ন্যুজ, অন্যদিকে তাদের নেই কোন প্রয়োজনীয় অস্ত্র, নেই কোন নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান। মার্কেট কর্তৃপক্ষের এসব উদাসীনতায় রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও ঘটে চলেছে চুরি ও ছিনতাই।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে চরম হতাশায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা আরো বলেন ব্যবসায়ীরা কর্তৃপক্ষের চাহিদামত পাহাড়ার চাঁদা পরিশোধ করলেও লোকবল বাড়ানোর ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এছাড়াও মার্কেটের প্রতিটি দোকান থেকে জমিদারী ভাতা বাবদ প্রতিবছর ৫ হাজার টাকা করে আদায় করলেও মার্কেটের কোন উন্নয়ন হচ্ছেনা। মার্কেট প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড়যুগ পেরুলেও এখনো কোথাও কোথাও লাগেনি রঙের আঁচড়। এমনকি সুবিশাল মার্কেটটির একটি নেমপ্লেট পর্যন্ত লাগানো হয়নি। এতে প্রায়ই দ্বিধায় পড়েন দূর থেকে অত্র মার্কেটে আসা ক্রেতারা। মার্কেটের চতুর্থতলার এক ফ্ল্যাট মালিক জানান মার্কেটটির শুরুতে একাধিক লিফট স্পেস ও সুবিশাল পার্কিং স্পেস, মার্কেট হলরুম ও অফিস রুম থাকলেও একে একে এগুলোর সবকটিই নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অত্র মার্কেটটির প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা সাবেক মেয়র সফি উদ্দিন আহম্মেদ বলেন ব্যবসায়ীরা ঠিকমত পাহাড়ার চাঁদা না দেয়ায় লোকবল বাড়ানো যাচ্ছেনা। তিনি খুব দ্রুত ব্যবসায়ীদের নিয়ে বসে এব্যাপারে সমাধানের আশ্বাস দেন।
মাধবদী থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মুহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, স্কুল সুপার মার্কেটের কোন চুরির বিষয়ে আমি অবগত নই, তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।