Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২ আগস্ট ২০১৬: চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০ দলের 42মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং এই দিক থেকে দেখলে বলতে হবে, জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। যুদ্ধাপরাধী ওই দলটির ব্যাপারে তিনি কোনো দায়দায়িত্ব বহন করবেন না বলেও উল্লেখ করেন এমাজউদ্দীন।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ দলটির চেয়ারপারসনের এমন মনোভাবের কথা জানান। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
ড. এমাজউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, সেটা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন সঙ্কটের মতো মনে হয়। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের পথে জামায়াতে ইসলামীকে সব সময় বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সে প্রসঙ্গে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক দল বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হয়। কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ক্ষমতাসীন দল ওই দলটিকে নিষিদ্ধ করতে পারে। বর্তমানে দেশের বিরোধী দল, রাজনৈতিকভাবে না হলেও দেশের বিরোধী দল বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ২০ দলের মধ্যে অন্ততপক্ষে এই দলটিকে আর ওইভাবে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বুঝতে পেরেছেন, ওই দলটিকে রাখলে যে লায়াবিলিটি আসে সেটা তিনি বহন করতে চান না। সুতরাং এই দিক থেকে দেখলে প্রতিবন্ধকতা (জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে) নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘অন্যদিক থেকে বলবো, জামায়াতে বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছেন, তাদের অধিকাংশের জন্ম একাত্তর সালের পরে। এরাও দেশ ও জাতির অংশ। সুতরাং তাদেরও একটা চিন্তা-ভাবনা থাকা দরকার। জাতীয় ঐক্য যদি তাদের কারণে ব্যর্থ হয়, সেটা তারাই বা চাইবেন কেন? সুতরাং এটা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটির কোনো কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না।’
তবে এসময় ২০ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘২০ দলীয় জোটে জামায়াতে ইসলামী ছিল, এখনো আছে।’