Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

bnpখোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৩ আগস্ট ২০১৬: রাজশাহীর তানোর বিএনপিতে সুযোগসন্ধানী, গ্রহণযোগ্যহীন, বির্তকিত ও হাইব্রিড নবীন নেতাদের আধিপত্যর দাপটে প্রবীণ, ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ নেতারা কোনঠাসা ও অসহায় হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, এসব হাইব্রিড নবীনরা অনুসারিদের নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ ও প্রবীণ নেতারা নিজ ঘরে পরবাসি হয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন। কিšত্ত এসব বিষয়ে ব্যারিস্টার আমিনুল হক কোনো ভূমিকা না রাখায় তাকে নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনি এসব নবীনদের মদদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তানোর উপজেলা যুবদলের কথিত সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এসব নবীনরা দিন দিন চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের পেশি শক্তি ও সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের কারণে প্রবীণরা রাজনীতির মাঠ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

এদিকে নবীনদের আধিপত্য ও সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের কারণে ইতিমধ্যে তানোর বিএপির একাধিক নেতা তার অনুসারীদের নিয়ে পদত্যাগ কেউ আবার আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তানোর পৌর বিএনপির সভাপতি (সাবেক) অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বদের আলী, সহসভাপতি নাজিমুদ্দীন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী পদত্যাগ ও ইলিয়াস কাঞ্চন পদত্যাগ করেছেন। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়াা হয়েছে। এছাড়াও তানোর উপজেলা বিএনপি, মুন্ডুমালা পৌর বিএনপি ও ইউনিয়ন বিএনপির প্রায় এক ডজন নেতা পদত্যাগ ও অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের প্র¯ত্ততি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, গত তানোর পৌর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের উপস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তানোর পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌর বিএনপির সভাপতি বিশ্বনাথ সরকার বলেন, সারা জীবন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, কিšত্ত বর্তমানে বিএনপিতে যা হচ্ছে তা মেনে নিয়ে রাজনীতি করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সহীদ জিয়ার আদর্শ বুকে ধারণ করে তিনি বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন, এখন যারা বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের বেশির ভাগ দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগ করছেন। এব্যাপারে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দীন বলেন, বিএনপি সভাপতি এমরান আলী মোল্লা ও যুবদল সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের কারণে তিনি পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, বিগত ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে তাকে বিএনপির মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এমরান আলী মোল্লা ও মিজানুর রহমান মিজান ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিšত্ত পরবর্তীতে বিশ্বনাথ সরকারের কাছে থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নাশকতা মামলার প্রধান আসামি হয়ে জেলে গিয়েও মিজান তার সঙ্গে বেঈমানি করে অর্থের বিনিময়ে মজিবরকে বিআরডিবি’র নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন।

এব্যাপারে তানোর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে মিজান যা শুরু করেছে তাতে সম্মান নিয়ে দলে টিকে থাকায় কঠিন, তাই তিনি নিজের আতœসম্মানের কথা বিবেচনা করে দল ও পদ থেকে সেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। এব্যাপারে তানোর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন বলেন, এমরান ও মিজান তারা মামা ভাগ্নে বিএনপিকে তাদের পকেটে রেখে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, তারা বিএনপির রাজনীতি করেও গোপণে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে, এসবের প্রতিবাদ করায় তারা তাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে যা সংগঠন পরিপন্থী কাজ।