পার্বত্য গণপরিষদ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য ছাত্র ঐক্য পরিষদ নামের পাঁচটি পৃথক সংগঠন এক যৌথ সভা শেষে বুধবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, ৮ আগস্ট রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরের সামনে এবং বান্দরবানে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ১০ আগস্ট তিন পার্বত্য জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালন।
যৌথ সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনীতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রস্তাবিত আইন একটি কালো আইন। এই আইনে যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে পার্বত্য বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধিও নাই। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব পদে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং বাকি সদস্যদের উপজাতীয় সদস্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাঙালিদের কোনো প্রতিনিধি না থাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ৪৮ শতাংশ বাঙালি জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না, বাঙালিরা তাদের ভূমির অধিকার হারাবে। পার্বত্য বাঙালিরা এই আইনকে কখনই মেনে নেবে না। প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে এই আইন প্রতিহত করা হবে।
সভায় পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আহম্মেদ রাজু, পার্বত্য গণ পরিষদের মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পারভেজ তালুকদার, পার্বত্য গণপরিষদের নেতা আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলম খানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।