Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৬: আকাশসীমায় ভারতের দুটি বিমান মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। দুই বিমানের পাইলটদের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে প্রচণ্ড ঝাকুনিতে আহত হয়েছেন ছয় জন।

বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে ইন্ডিগোর তরফে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাই থেকে গুয়াহাটিগামী একটি বিমান ৩৮ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ন্ত অবস্থায় হঠাৎ করেই আড়াইশ’ ফুট নিচে নেমে যায়। এসময় গুয়াহাটি থেকে চেন্নাইগামী একটি বিমান ওই বিমানটির কাছাকাছি এসে পড়ে। তবে পাইলটদের তৎপরতায় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়।
ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তাদের ‘৬ই-৮১৩’ ফ্লাইটটি মুম্বাই থেকে গুয়াহাটির দিকে আসছিল। অন্যদিকে, গুয়াহাটি থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল একই এয়ারলাইন্সের ‘৬ই-১৩৬’ ফ্লাইটটি। ঢাকা আকাশসীমায় গুয়াহাটিতে প্রবেশের মুখে হঠাৎ করে দু’টি বিমানই এয়ার পকেটে পড়ে।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক কর্মকর্তা অনিল শর্মা জানান, ওই সময় গুয়াহাটিগামী বিমানটি প্রায় ৩৭ হাজার ফুট ও চেন্নাইগামী বিমানটি প্রায় ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। অবশ্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং বিমানের ‘ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেম’-এর সহায়তায় পাইলটরা দুটি বিমানের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে সমর্থ হন।
তবে ওঠানামার ধাক্কায় মুম্বই-গুয়াহাটি বিমানের দুই এয়ার হোস্টেস পড়ে গিয়ে আহত হন। সিট বেল্ট বাঁধা না থাকায় পাশের আসনে ধাক্কা খেয়ে সামান্য জখম হন চার যাত্রী। অনেকের শ্বাসকষ্ট বা বমিভাব হয়েছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রানওয়ের পাশে অ্যাম্বুলেন্স তলব করা হয়েছিল। বিমানটি স্বাভাবিক ভাবেই অবতরণ করে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
ইন্ডিগো জানিয়েছে, বর্ষার আকাশে দু’ধরণের অশান্ত আবহাওয়া দেখা দেয়। এর মধ্যে বজ্রগর্ভ মেঘ থাকা ‘কিউমুলো নিম্বাস অ্যাক্টিভিটি’ নিয়ে রাডার ও এটিসি আগাম সতর্কতা দেয়। কিন্তু পরিষ্কার আকাশে হঠাৎ হওয়া ‘ক্লিয়ার এয়ার টারবুলেন্স’ নিয়ে রাডার আগাম সতর্কতা দিতে পারে না। বুধবার সেই ঘটনাই ঘটেছিল।