খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৬: ভূমি কমিশনকে বিতর্কিত বলে উল্লেখ করে এ কমিশনের আইনটি বাতিলের দাবিতে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমমনা পাঁচ বাঙালিভিত্তিক সংগঠন। সংশোধন পূর্বক মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করার প্রতিবাদে এবং বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা। সংগঠনগুলো হচ্ছে- পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য গণপরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্রঐক্য পরিষদ। তাদের পূর্ব ঘোষিত যৌথ কর্মসূচির অংশে বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খাগড়াছড়িতে শাপলা চত্ত্বরে এবং বান্দরবানে প্রেসক্লাবের সামনে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া কর্মসূচি অনুযায়ী ৮ আগষ্ট তিন পার্বত্য জেলায় মানববন্ধন এবং ১০ আগষ্ট সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়েছে সংগঠনগুলো। কর্মসূচির সমর্থনে বিকালে রাঙ্গামাটি শহরে আরেক দফায় পৃথক বিক্ষোভ বিছিল বের করে পার্বত্য গণপরিষদ। দাবি না মানলে ১০ আগষ্ট হরতালের পর লাগাতার কঠোর কর্মসূিচ ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে শহরের কাঠালতলীর কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হন।
পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. হানিফ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, রাঙ্গামাটি কলেজ শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে সরকারকে হুশিয়ার করে বক্তারা বলেন, ভূমি কমিশন আইনের যে সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে হলেও তা রুখবে পার্বত্য বাঙালিরা। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভূ-খন্ড। এটা আলাদা কোনো রাষ্ট্র নয়। এখানে আলাদা ভূমি কমিশন আইনের নামে এ অঞ্চলের বাঙালিদেরকে ভূমি ছাড়া করে বিতারণ করা যাবে না।
বক্তারা আরও উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা পাহাড়িদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। পাহাড়িদের চাঁদাবাজি, অপহরণসহ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে বাঙালিদের জানমাল হুমকিতে। এ অবস্থায় যদি ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের নামে তাদের হাতে আরও অধিক ক্ষমতা তুলে দেয়া হয় তাহলে বাঙালিরা এখানে থাকতে পারবে না। পার্বত্য এলাকাকে আলাদা একটি রাষ্ট্র ঘোষণা করবে পাহাড়িরা। এসব কর্মকান্ড রুখে দিতে পার্বত্য বাঙালি সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে আগামী ১০ আগষ্টের হরতালসহ পরবর্তী আন্দোলন সফল করার আহবান জানান বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতারা।