খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৬:সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ৭ ধারা অনুযায়ী বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের ৬ এর ১ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কাজী রিয়াজুল হককে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়েছেন। যেটি মানবাধিকার আইন ২০০৯ এর পরিপন্থী।
মানবাধিকার কমিশনে এক ব্যক্তি দুবার দায়িত্ব পালন করার পর তিনি আর নতুন করে দায়িত্ব গ্রহন করতে পারবেন না। যেটি রিয়াজুল হকের ক্ষেত্রে হয়েছে। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে তিনি এ লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে আরো বলা হয়, মানবাধিকার আইন ২০০৯ এর ৭ (১) ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের একজন সরকার দলীয় সদস্য একজন বিরোধীদলীয় সদস্যের সমন্বয়ে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন হবে। এ কমিটির সুপারিশক্রমে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
কিন্তু বর্তমান নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিয়াজুল হকের নিয়োগের ক্ষেত্রেও সে বিষয়টিও অমান্য করা হয়েছে। কারণ, রিয়াজুল হক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দুই দুই বার সদস্য ছিলেন। পর পর দুই বার সদস্য থেকে তৃতীয়বারের জন্য তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এটি আইনগতভাবে অবৈধ হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ৬ (৩) অনুযায়ী রিয়াজুল হকের নিয়োগ আইনত অবৈধ।
এ নোটিশটি পাওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিয়াজুল হকের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে নোটিশের উত্তর দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেটি না করা হলে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টে জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রীপরিষদ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।