খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৫ আগস্ট ২০১৬: রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামি সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র প্রবীণ ও বর্ষিয়ান রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানি গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব, দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী ও জনবান্ধব, পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে গণমানুষের নেতায় পরিণত হয়েছেন। তার বাবা প্রয়াত বির মুক্তিযোদ্ধা মাহাম মন্ডলও ছিলেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষ এখানো মাহাম মন্ডলের কথা মনে করে মনের অজান্তেই কেঁদে উঠেন। রাজশাহী অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন প্রয়াত মাহাম মন্ডল তারই সুযোগ্য পুত্র গোলাম রাব্বানিও নেতৃত্বের গুনে সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে তিনি গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতা ও কমী-সমথর্কদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান। রাব্বানি বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। গোলাম রাব্বানি বলেন, আমি রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকেছি এবং এখনো আছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে আজ আওয়ামী লীগে পৌচ্ছে দেখতে পাচ্ছি এখনও তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার জায়গা নেই। সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি। রাব্বানী দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা বা জেলা যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। তার মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। কিšতু তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা দুর করতে চান।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন গোলাম রাব্বানী। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সšতান হিসেবে রাব্বানী রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় সক্রিয় থেকেছেন। তিনি দু’বার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দু’বার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। রাব্বানী এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে তানোরসহ রাজশাহীর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মণে করেণ ও যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানী তাদের কথা শুনেন। রাব্বানী বলেন, তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গোলাম রাব্বানী সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এখনো আছেন। তিনি বলেন, রাব্বানী একজন পরীক্ষিত নেতা। দলের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন।