খোলা বাজার২৪ শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়ম করে ব্যায়াম করাটা অনেকের কাছেই অস্বস্তিকর। শুধু তাই নয় ব্যায়াম নিয়ে অনেকের ভুল ধারণাও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সাতটি ভুল ধারণা ও এর পেছনের প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে জেনে নিনৃ..
১. অ্যারোবিক এক্সারসাইজ ক্লান্ত করে:
নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে ফিটনেস এবং এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস এবং ক্লান্তি কমে।
২. ব্যায়াম খুব সময় সাপেক্ষ ব্যাপার:
সপ্তাহে ৩-৫ দিন আধা ঘণ্টা সময় দিলেই যথেষ্ট। একবারে সম্ভব না হলে দুইবারে করুন। আর পাঁচটা কাজের মতোই ব্যায়ামও দৈনিক রুটিনের অংশ করে ফেলুন।
৩. সব ব্যায়ামেরই একই ফল:
বিভিন্ন ব্যায়ামের ফল আলাদা আলাদা। নিয়মিত অ্যারোবিক এক্সারসাইজ হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম ভালো রাখে এবং ক্যালরি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং এক্সারসাইজ শরীরে শক্তি বাড়ায়, আবার ফ্লেক্সিবিলিটি এক্সারসাইজ স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তা কমে:
ব্যায়াম প্রত্যেকের জন্য প্রয়োজন। বয়স, চাহিদা এবং ফিটনেস লেভেল মাথায় রেখে ব্যায়ামের পরিকল্পনা করা উচিত।
৫. ব্যায়াম করার জন্য দক্ষতা দরকার:
সব ব্যায়ামেই দক্ষতার প্রয়োজন নেই। হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং, ফ্রি-হ্যান্ড সহজেই করা যায়।
৬. বেশি ব্যায়াম মানে বেশি মজবুত হাড়:
বেশি ব্যায়ামে হাড়ের ক্ষয় হয় এবং হাড় কমজোর হয়ে পড়ে।
৭. নিয়মিত ব্যায়ামই হাড় শক্ত করার জন্য যথেষ্ট:
ওয়েট-বেয়ারিং ব্যায়ামের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
টিপস
ব্যায়ামের সময় কী করবেন– পেশি সঞ্চালন ঠিক রাখতে ধীরে ধীরে ব্যায়াম করুন। নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণে রাখুন, তাড়াহুড়ো করবেন না।
– ব্যায়াম করার সময় পেশি সঙ্কোচন-প্রসারণে মনঃসংযোগ করুন। ভালো ফলাফল পাবেন।
– শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। শ্বাস বন্ধ রাখলে পেশি তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
– পানিশূন্য অবস্থায় ব্যায়াম করলে যথাযথ ফল পাবেন না। তাই ব্যায়ামের আগে, মাঝে এবং পরে অল্প অল্প করে পানি পান করুন।