খোলা বাজার২৪ শনিবার, ৬ আগস্ট ২০১৬: কুমার, নাটোর: নাটোরে বন্যায় ৫৬৫ হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে। নিমজ্জিত হয়েছে ৮শতাধিক বাড়ি-ঘর। এছাড়া আত্রাই, বড়াল ও নন্দকুজা নদীর পানি বিপদ সীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তুতি মুলক সভা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সুত্র জানায়, জেলার সিংড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন, নলডাঙ্গা উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৫৬৫ হেক্টর জমির বোনা ও রোপা আমন ধানের জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সহসা পানি নেমে না গেলে এ সমস্ত জমির ফসল ক্ষতি গ্রস্থ হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার, বড়াল নদীতে ২ দশমিক ৫৭ সেন্টমিটার এবং নন্দকুজা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হেেচ্ছ। জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, সিংড়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৮৫৬টি বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ৮টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে রয়েছে।
অপরদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার বিকালে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাটোরের জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি , সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা। সভায় জেলা প্রশাসক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিতেদর আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে কিভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান জানান, জেলায় এখনও বন্যা হয়নি। তারপরেও আমরা বন্যা পরিস্তিতি মোকাবেলায় আমাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের কাছে যে ত্রান সামগ্রী রয়েছে সেগুলি দিয়ে আমরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম । তাছাড়া জেলার বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে সকল মহলের সহযোগিতা কমানা করেন।