খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট ২০১৬: : শেরপুর জেলা শহরের দুর্গা নারয়ণপুর এলাকার এলাকা থেকে রূপা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রূপা শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের ছোবহান আলি ও খোরশেদা বেগমের মেয়ে। আজ ৯ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সদর থানা পুলিশ দুর্গা নারয়ণপুর এলাকার সালমা জাহান সাথীর বাসা থেকে তাঁর (রূপা) লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ, রূপার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর যাবত শেরপুর শহরের দুর্গা নারায়ণপুর এলাকার সালমা জাহান সাথীর বাসায় রূপা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছিল। সালমার স্বামী আব্দুল মোমিন বিদেশে চাকরি করেন। মাঝে মধ্যেই গৃহকর্ত্রী সালমা রূপাকে মারধর করতেন। আজ ৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী সালমা জাহানের বাসায় রূপার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রূপার লাশ উদ্ধার করে।
রূপার বাবা-মা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, সালমা জাহান তাদের মেয়ে রূপাকে হত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
অপরদিকে সালমা জাহান সাথী অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের নিকট বলেন, গত সোমবার রাতে তিনি ও রূপা একই সময়ে ঘুমাতে যান এরপর সকালে ঘরে রূপার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। সে (রূপা) আত্মহত্যা করেছে বলে তিনি দাবী করেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে রূপার লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ সালমা জাহান সাথীকে আটক করেছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।