খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট ২০১৬: আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এর আগে অভিযোগ ছিল, হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে জঙ্গি সংগঠন আইএসের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছিলেন। তবে বরাবরই এই অভিযোগ নাকচ করে আসছিলেন তিনি। সম্প্রতি গোপন নথি ফাঁসকারী অ্যাসাঞ্জ এ ঘটনার সত্যতা দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ‘ডেমোক্র্যাসি নাউ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন। সূত্র হিসেবে তিনি দাবি করেন, হিলারি ক্লিনটনের ফাঁস হওয়া ইমেইল থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র কাতারে চালানের অনুমতি দিয়েছিলেন। মুসলিম ব্রাদারহুড ও লিবিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি বন্ধুসুলভ দেশ হিসেবে এমনিতেই পরিচিত কাতার। অ্যাসাঞ্জ অভিযোগ করেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি সরকারকে উৎখাতেও ঐ সব অস্ত্র কাজে লাগানো হয়। এমন প্রচেষ্টা চালানো হয়, সিরিয়ার আসাদ সরকারকে উৎখাতেও। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এসব অস্ত্র পরে ইসলামি জিহাদিদের হাতে পৌঁছে যায়।
অ্যাসাঞ্জের দাবি, ‘ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া’ নামের কথিত সংগঠনেরও মূল ভূমিকায় ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে সিআইএ যে উদ্যোগ নেয় তার পেছনেও ছিলেন হিলারি।
হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে ব্যবহার করা ৩০ হাজারেরও বেশি ইমেইল গেল মার্চে ফাঁস করে উইকিলিকস। সাক্ষাৎকারে ‘ডেমোক্র্যাসি নাউ’র পক্ষ থেকে হিলারির এসব ইমেইল ফাঁসের কারণ জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে উইকিলিকস প্রধান জানান, এর উদ্দেশ্য হিলারির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, বরং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কীভাবে চলে তা তুলে ধরা।
যুক্তরাষ্ট্রের লিবিয়া অভিযানকে সর্বনাশা অ্যাখ্যা দিয়ে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ‘গাদ্দাফি সরকার পতনের ফলে লিবিয়ার একটি বিশাল অংশে আইএসের উত্থান ঘটে।