খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০১৬: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ সমাজের বিষফোড়া। বিষফোড়া উঠলে যেমন শরীরের কষ্ট হয়, তেমনি জঙ্গিবাদ সমাজের মানুষকে সাময়িক কষ্ট দিচ্ছে। একজন ভালো ডাক্তার বা সার্জন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন সেই সার্জন। তিনি দেশের মানুষকে এই বিষ ফোড়ামুক্ত করবেন।’
দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উগ্রতা নির্মূলে গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের শাহবাগ থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রার আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আজ বুধবার সকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ বিষফোড়ার মতো সাময়িকভাবে দেশের মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আমরা ছোট ছোট ডাক্তার-নার্সের মতো এ বিষফোড়া মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করছি। আমরা টর্চ লাইটের মতো সঠিক জায়গায় ফোকাস করে সমাজের যেখানে অন্ধকার দেখব, তা দূর করব।’ তিনি বলেন, দেড় বছর আগে খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামী একযোগে বিভিন্ন যানবাহনে চালক-সহকারী ও যাত্রীদের ওপর পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। সে সময়ও কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন সাদা পতাকা হাতে মিছিল করেছে। এরপর পেট্রলবোমার সন্ত্রাস বন্ধ হয়। আজও জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা হাতে এ পদযাত্রার মধ্য দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ শেষ হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনি টের পাননি আপনার জন্য কী ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে? আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে আপনার জঙ্গি-সন্ত্রাস প্রতিরোধ করব।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘শোকের মাসে আমরা জঙ্গিবাদবিরোধী এ মিছিল করছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা কিছু মানুষের পছন্দ হচ্ছে না। বিএনপি দলের ভেতর রাজাকার-আলবদরের সন্তানদের জায়গা করে দিয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তিনি বলেন, অভিভাবকদের এখন নতুন করে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, তেমনি জঙ্গিরাও পার পাবে না। তাঁর নেতৃত্বে আমরা জঙ্গিবাদ ধ্বংস করব।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ওয়ারেছ বলেন, ‘দেশ যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তার সমাধান করতে সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা রাখতে হবে। পেট্রলবোমার বিরুদ্ধেও আমরা পদযাত্রা করেছি। দেশের শান্তিরক্ষা আমাদেরও দায়িত্ব।’
সমাবেশে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী বলেন, বাংলাদেশ জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের দেশ নয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব মো. হেদায়েত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টা মো. লুৎফর রহমান খান, কার্যকরী সভাপতি মো. আবদুল হাই মোল্লা, ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।