খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০১৬: ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসল, ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ান, এমনকি প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও ছুটি শেষ করে কাজে যোগ দিয়েছেন। ফেরেননি শুধু জাতীয় দলের সহকারী কোচ রুয়ান কালপাগে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে নাকি এখনো শঙ্কিত এই শ্রীলঙ্কান!
জাতীয় দলের অনুশীলন পুরোপুরি শুরু হয়ে যাওয়ার পরও কালপাগের কাজে যোগ না দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন দিনে দিনে বাড়ছে। এমনও আলোচনা আছে যে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় দলের কোচ হওয়ার চেষ্টায় আছেন। সেটা হলে বিসিবিকে সরাসরি জানিয়ে দিলেই হয় যে বাংলাদেশে আর কাজ করবেন না। সেটা না করে কালপাগে তুলছেন নিরাপত্তার প্রশ্ন।
অথচ বিদেশি কোচদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বিসিবি সব রকম ব্যবস্থাই করেছে। বনানীর ভাড়া করা বাসার পরিবর্তে তাদের রাখা হচ্ছে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে। দেওয়া হয়েছে দেহরক্ষীও। জাতীয় দলের কোচদের চেয়ে কম নিরাপত্তা পেয়েও যেখানে বাংলাদেশে নিরাপদ বোধ করছেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনার কোরি বকিং, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ দেখে বড় হওয়া কালপাগের ভয়টাকে সেখানে অমূলকই মনে করছে বিসিবি।
কালপাগেকে তাই বোর্ড আর বেশি সময় দিতে রাজি নয়। তাঁকে দ্রুত ফিরে আসার জন্য এর মধ্যেই ই–মেইল পাঠিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। কাল রাত পর্যন্ত সেই ই–মেইলের জবাব দেননি কালপাগে। তবে জাতীয় দলের কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘তিনি (কালপাগে) বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন, আমিও যোগাযোগ করেছি। আশা করি দ্রুতই একটা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
সেটা না নিলে বিসিবিও খুব বেশি দিন তাঁর আশায় থাকবে না বলে জানা গেছে। তা ছাড়া শ্রীলঙ্কার সাবেক এই স্পিনারের কাজে খুব একটা সন্তুষ্ট নন বোর্ড কর্মকর্তা ও ক্রিকেটাররা।
কালপাগে নিজ থেকে না এলে তাই বোর্ডও তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করবে না। পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের ব্যাপারেও একই নীতি অনুসরণ করেছিল বিসিবি।
গত ১ জুলাই থেকে নবায়ন হয়েছে বিসিবির সঙ্গে কালপাগের চুক্তি। এরপর প্রায় দেড় মাস সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর আসার নামগন্ধ নেই। এমনকি সহকারী কোচের পাশাপাশি স্পিন কোচের দায়িত্বে থাকলেও বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর কাজে কার্যকর কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ থেকে। তবু নাকি বিসিবির কাছ থেকে জুলাই মাসের পুরো বেতন দাবি করছেন কালপাগে!