Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

16খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১০ আগস্ট ২০১৬: রাষ্ট্রদ্রোহিতা, নাশকতা ও দুর্নীতির মোট ১২ মামলায় হাজিরা দিতে বুধবার ঢাকার নিম্ন আদালতে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপি প্রধানের আগমন উপলক্ষে নিম্ন আদালতের বাহিরে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিল বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের কর্মীরা।
এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর বেলা পৌণে ১২টায় আদালতে হাজির হন তিনি। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনসন রোড, ইংলিশ রোড, রায় সাহেব বাজার মোড়, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ পুরো আদালতপাড়ায় কড়া অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করে দেয়া হয় যানচলাচলও।
বেলা ১১টার পর থেকে আদালতের বাহিরে রাস্তায় জড়ো হতে থাকে বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের কর্মীরা। বেলা পৌণে ১২টায় খালেদা জিয়া আদালতের অভিমুখে আসলে সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আদালতে আসেন সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান। খালেদা জিয়া আদালতে প্রবেশ করার পর বৃষ্টি আসলেও অবস্থান থেকে সরেননি কর্মীরা। বৃষ্টির মধ্যেও বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
বেলা পৌণে ১২টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টা আদালত পাড়ায় অবস্থান করেন খালেদা জিয়া। প্রথমে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে হাজির হয়ে তার নামে করা ৮টি মামলায় ও একটি রাষ্ট্রদোহ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে দুপুর ১টা ০৫ মিনিটের সময় মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর আদালতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিলো। খালেদা জিয়া উপস্থিত হয়ে আদালতে হাজিরা দেন। তার আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ উপস্থিত হয়ে নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করে তার আইনজীবী মো. সানাউল্লাহ মিয়া। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক এম আমিনুল ইসলাম শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামি ১৬ সেপ্টেম্বর ধার্য্য করেছে আদালত।
দুপুর ২টায় বিশেষ জজ আদালত-৯ থেকে বের হয়ে দারুল সালাম থানার নাশকতার ৪(৩)১৫ নম্বর মামলায় হাজির হওয়ার জন্য সিএমএম আদালতের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এসময় তার গাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে এগুতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। গাড়ির পেছন থেকে স্লোগান দিতে থাকেন দলের কর্মীরা।
বিশেষ জজ আদালত-৯-এ প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন নাহার ইয়াসমিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে নাশকতার মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত এ মামলায় জামিন প্রদান করেন। ওই মামলার শুনানি শেষে দুপুর ২-৩০মিনিটে নিশান প্রেটল পাজারো নং ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৩-২৬১২ যোগে সিএমএম আদালত থেকে বের হন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বের হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই কর্মীরা তার গাড়ি ঘিরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। তিনি স্থান ত্যাগ করার পরই সেখান থেকে সরে যায় বিএনপি, যুবদল এবং ছাত্রদলের কর্মীরা। এরপর বিকেল ৩টা ৪০মিনিটে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।