খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০১৬: ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃপক্ষ এবছর ৩ শতাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীকে হাতে-কলমে কারিগরী শিক্ষা দিচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যাটাচমেন্ট কোর্সের আওতায় তিন মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে এই বিশেষ প্রশিক্ষণ। গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট, ২০১৬) এ উপলক্ষে এক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর খিলগাঁও-এ বজরা আর্ট এন্ড ডাইন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম এন্ড এডমিন) এসএম জাহিদ হাসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর মাহমুদুল হক, এ্যাডিশনাল ডিরেক্টর নিয়ামুল হক, সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এসএম নাসির উদ্দিনসহ সার্ভিস সেন্টারের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেরই রয়েছে আইএসও সনদ প্রাপ্ত উচ্চমানের সার্ভিস সিস্টেম। ফলে তিনমাসব্যাপী প্রশিক্ষণের আওতায় প্রকৌশলীরা বিশ্বমানের সার্ভিসিং প্রকিওয়ার সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রযুক্তি পণ্যের বিভিন্ন কারিগরী দিক সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করবেন। পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানবেন। সেইসঙ্গে ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশনার, মোবাইল ফোন, হোম-কিচেন-ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্স- ইত্যাদি পণ্যের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে সম্যক প্রশিক্ষণ পাবেন। এরমাধ্যমে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আধুনিক মেশিনারিজ, যন্ত্রপাতি, স্পেয়ার পার্টস, উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবেন।
প্রতিবছর আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর-এর মাঝামাঝি পর্যন্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃপক্ষ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের তিন-মাস মেয়াদি ইন্টার্নশীপ প্রোগামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। ২০১৪ সালে ১১০ জন ও ২০১৫ সালে ১৯৪ জন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ইন্টার্নশীপ করেন। চলতি বছর ৫ শতাধিক প্রকৌশলী আবেদন করেন। যাদের মধ্য থেকে ৩২০ জনকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এসব প্রকৌশলী সারা দেশে বিস্তৃত ওয়ালটনের ৬২টি পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস সেন্টারে হাতে-কলমে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবেন।
এবছর ৩২০ জনকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়া হলেও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ডাকা হয় ১০০ জনকে। অনুষ্ঠানে এসএম জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টারগুলোতে রয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও দক্ষ প্রশিক্ষক ও প্রকৌশলী। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ সংশ্লিষ্টদের দক্ষ কর্র্মী হিসেবে গড়ে তুলবে, অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। এতে করে, একদিকে এ খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব দূর হবে, অন্যদিকে বিশ্ব বাজারেও বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান তৈরি হবে। তিনি বলেন, জাপান, জার্মানি ও আমেরিকার মতো দেশগুলো উন্নত বিশ্বে পরিণত হয়েছে শিল্পোন্নয়নের মাধ্যমে। বাংলাদেশকেও উন্নত বিশ্বের তালিকায় নাম লেখাতে হলে অবশ্যই প্রযুক্তি শিল্পে এগিয়ে যেতে হবে। আর ওয়ালটন সেই চেষ্টাই করছে।
অনুষ্ঠানে নরসিংদী পলিটেকনিক থেকে আগত শিক্ষার্থী সোহেল হাসান বলেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হাতে-গোনা কয়েকটি। তারমধ্যে ওয়ালটন অন্যতম। ওয়ালটনের মতো দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে উচ্চতর প্রশিক্ষন নেওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেদের অনেক ভাগ্যবান মনে করছি।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে আগত শারমীন আক্তার কেমী বলেন, শিক্ষকরাই তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওয়ালটনের মতো সত্যিকারের একটি প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যাটাচমেন্ট কোর্সের আওতায় কারিগরি শিক্ষার ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে। তিনি বলেন, এখান থেকে লব্ধ জ্ঞান তিনি প্রযুক্তি শিল্পে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজে লাগাবেন। খবর এনবিএসের