Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০১৬ : শিশুটির বয়স এখনো পাঁচ বছরও হয়নি। অথচ ভারতের লক্ষেèৗ প্রদেশের একটি স্কুল সেই তাকেই কি না নবম শ্রেণিতে ভর্তি করাতে উৎসুক হয়ে উঠেছে! এ জন্য মোটামুটি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলটিতে ক্লাস শুরু করবে শিশুটি।

যে শিশুটির কথা বলছি তার নাম অনন্যা ভার্মা। মজার ব্যাপার হলো, নবম শ্রেণির মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো স্কুলে ভর্তি হতে যাচ্ছে সে। অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে ভর্তি না হলেও এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন স্কুলে যাওয়া-আসা করেছে অনন্যা। আর এরই মধ্যে অন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সে।
এত ছোট বয়সে বড় ক্লাসে ভর্তি হওয়ার ঘটনা অনন্যার পরিবারের জন্য নতুন নয়। তার বড় ভাই শৈলেন্দ্র ২০০৭ সালে সবচেয়ে কম বয়সে ভারতের প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এদিকে, অনন্যার বোন সুষমা মাত্র সাত বছর বয়সে পাস করে স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। আর এ জন্য ভারতের লিমকা বুক অব রেকর্ডসে উঠেছে তাঁর নাম। শুধু তা-ই নয়, মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিএইচপি কোর্সে ভর্তিও হয় সে।
শৈলেন্দ্র আর সুষমার বোন অনন্যা এই পাঁচ বছর বয়সেই পড়তে পারে সব ধরনের বই। এমনকি রামায়ণ বা হনুমান চল্লিশা পড়তেও কোনো সমস্যা হয় না তার।
এই তিন প্রতিভার বাবা তেজ বাহাদুর স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর কাজ করেন। তিনি বলেন, তাঁর বড় মেয়ে সুষমা সেন্ট মীরাস স্কুলে পড়ত। ওই স্কুলটিই অনন্যাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এ ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। যেগুলো পূরণ হওয়ার পরেই অনন্যা স্কুলটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে তেজ বাহাদুর বলেন, ‘আমরা কখনো তাকে লেখাপড়ার জন্য জোর করিনি। আমি যখন কাজ শেষে বাড়ি ফিরি, সে আমাকে তাকে পড়ানোর জন্য জোরাজুরি শুরু করে। নতুন কোনো বিষয় আত্মস্থ করতে তার তুলনা নেই।’
বড় মেয়ে সুষমা অনন্যাকে গণিত শিখতে সহায়তা করে বলেও জানান তেজ বাহাদুর। সন্তানদের এমন মেধার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। গর্বিত এই পিতা বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত এবং সন্তানদের পথ দেখাতে পারি না। আজ পর্যন্ত তারা যাই অর্জন করেছে, সবই মা সরস্বতীর কৃপা।’
সেন্ট মীরা’স স্কুল কর্তৃপক্ষও অনন্যাকে পেয়ে খুব খুশি। স্কুলটির ব্যবস্থাপক বিনোদ রাত্রা বলেন, অনন্যার মতো সুষমাও পাঁচ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। তার দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হতো, কারণ সে ছিল সবার চেয়ে ছোট। সে জন্য প্রয়োজনে তার বাড়তি ক্লাসও নিতেন শিক্ষকরা। এবার সুষমার বোন অনন্যাও যেন তাঁদের স্কুলে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া করতে পারে, সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা। এই অনুমতি পাওয়া গেলেই অনন্যার স্কুলে ভর্তি হতে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে জানান বিনোদ।