Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০১৬ : বাগেরহাট : বাগেরহাটে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমানকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুক্রবার তাকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মহানগরীর নূর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদক। তিনি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের চাকশ্রী গ্রামের প্রয়াত শেখ হাসান আলীর ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আবুল হাশেম কাজী জানান, ২০১২ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট শহরের রেল রোডের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবর রহমান ও একই শাখার জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুসহ আরেক কর্মকর্তাসহ অন্তত ১২ জন ব্যাংক গ্রাহককে নিয়ে পরস্পর যোগসাজসে ব্যাংকের ১৫০ জন গ্রাহকের এসওডি (সিকিউর ওভার ড্রাফট) বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাদের হিসাব থেকে চার কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এই ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর সোনালী ব্যাংককের নতুন যোগদান করা ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদী হয়ে ব্যাংকের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুর নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুদক ওই মামলার তদনাত শুরু করে। আবুল হাশেম কাজী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দুদক অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। এর সঙ্গে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ ১২ গ্রাহকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে ব্যাংকের পলাতক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু আত্মসাত করা ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তিনি জানান, তিন ব্যাংক কর্মকর্তার মধ্যে ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সোনালী বাংক কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। তবে অন্যজন চাকরিতে বহাল রয়েছেন। খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুকুমার বিশ্বাস জানান, মুজিবর রহমানকে সকালে সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট নিরীক্ষাকালে সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট প্রধান শাখার ওই অর্থ আত্মসাতের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে।