Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১২ আগস্ট ২০১৬ : শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী কাটাখালি ব্রীজটি সংরক্ষণের দাবীতে মানব বন্ধন হয়েছে। আজ শুক্রবার ঝিনাইগাতী-শেরপুর সড়কের পরিত্যক্ত কাটাখালি ব্রীজের উপর “আমরা ১৮ বছর বয়স ঝিনাইগাতী”এর উদ্দ্যেগে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহবায়ক তুশার আল নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শহীদ নাজমুলের ছোট ভাই এন এম সাজদুল আহসান মাসুম, তার খালা বেগম মমতাজ, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আমিরুজ্জামান লেবু, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধাঁর, সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, জাকির হোসেন, সামেদুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল প্রমুখ। উল্লেখ্য, ৭১ এর ৬ই জুলাই পাক বাহিনীর যাতায়াত একমাত্র পথ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কোম্পানী কমান্ডার শহিদ নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এ কাটাখালি ব্রীজটি ডিনামাইট বসিয়ে উড়িয়ে দেয়। ভোর হয়ে আসায় মুক্তিযোদ্ধারা পাশের রাঙ্গামাটির খাটুয়াপাড়া গ্রামে হাজী নৈমদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ওই গ্রামের পাক বাহিনীর দালাল জালাল মিস্ত্রী, পাক বাহিনীর আহাম্মদ নগর ক্যাম্পে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পাক হানাদার বাহিনী রাজাকার আলবদরদের সাথে নিয়ে রাঙ্গামাটি গ্রাম ঘিরে ফেলে। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে রক্ষার জন্য কমান্ডার নাজমুল রাঙ্গামাটি বিলের পানিতে নেমে কভারিং ফায়ার করে মুক্তিযোদ্ধাদের চলে যাওয়ার পথ করে দেয়। এসময় পাক বাহিনীর ব্রাশ ফায়ারে নাজমুল শহীদ হয়। তার লাশ আনতে গিয়ে তার ভাই মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন ও ভাতিজা মোফাজ্জলও পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। এ ৩ মুকিযোদ্ধার রক্তে রাঙ্গামাটি বিলের পানি সেদিন রাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। শহীদ নাজমুলের স্মৃতি ধরে রাখার জন্যে “আমরা ১৮ বছর বয়স, ঝিনাইগাতী”র পক্ষ থেকে কাটাখালি ব্রীজের উপর শহীদ নাজমুলের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ ব্রীজটি সংরক্ষণের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে।