Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৬: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পায়রা সমুদ্র বন্দরের 24আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতুর পাথর নিয়ে আসা এমভি ফরচুন বার্ড থেকে পণ্য খালাসের মধ্য দিয়ে পায়রার যাত্রা শুরু হলো।

পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা সমুদ্র বন্দরটি দক্ষিণ জনপদের অর্থনীতির চিত্র বদলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে ১০টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে তার একটি পায়রা সমুদ্র বন্দর, এর মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতুও।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নে রামনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে ১৬ একর জমির উপর পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এক হাজার ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে এই সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে জাহাজ ভেড়ার অবকাঠামো নির্মিত হয়ে যাওয়ায় আগেই ভিড়তে শুরু করেছে জাহাজ।
এর মধ্য দিয়ে নিরাপদ বাল্কপণ্য নদীপথে পরিবহনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হল বলে জানান পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মো. সাইদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস করে নৌপথে পরিবহন করা হবে। পণ্য খালাস ও পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে বন্দরে এসে পৌঁছেছে ১৫টি লাইটার জাহাজ।’
বন্দর এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করতে বিরামহীন কাজ চলছে জানিয়ে সাইদুর রহমান বলেন, জেটি ও অত্যাধুনিক কনটেইনার ক্যারিয়ার, পানি শোধনাগার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক স্টেশন, নিরাপত্তা ভবনসহ প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ হচ্ছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডও।