Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

203739pm_kalerkantho_pic

 খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাজীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এখন তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। তাই তাঁর সরকার উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে সংযোগকারী যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া এবং পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম ৪ লেন জাতীয় এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম, দেশের প্রথম ৮ লেন বিশিষ্ট যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়ক, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ছয়টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব) উদ্বোধন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহ্ম্মাদ শফিউল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও পদস্থ কর্মকর্তারা যোগ দেন।
সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ (কম্পিউটার এবং ভাষা শিক্ষণ ল্যাব) স্থাপন করার লক্ষ্যে প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ২০০১ টি কম্পিউটার ল্যাব এবং ৬৫ টি ল্যাংগুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে।
সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ (কম্পিউটার এবং ভাষা শিক্ষণ ল্যাব) উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ল্যাব প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি চালু করার মাধ্যমে শিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা প্রদানে সক্ষম করে তোলার জন্য শিক্ষকদেরকেও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে সকল শিক্ষার্থী কম্পিউটারের মাধ্যমে পাঠ গ্রহন করার সুযোগ পাবে।
শেখ রাসেলের স্মৃতি জাগরূক হওয়ার প্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠেন। বঙ্গবন্ধুর কণিষ্ঠ পুত্র রাসেল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে নৃশংসভাবে নিহত হয়েছিলেন। তার নামেই ল্যাবের নামকরণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা ভবিষ্যতে আরো সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করবে।
তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রভাব থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী রচনা লেখা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সফল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ ও বই বিতরণ করেন।
পদ্মা সেতু সংযোগকারী যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া এবং পাচ্চার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম ৪ লেন বিশিষ্ট জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে এবং দেশের প্রথম ৮ লেন বিশিষ্ট যাত্রাবাড়ি-কাঁচপুর জাতীয় মহসড়কের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুটি মহাসড়ক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৩১.৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে যাত্রাবাড়ি থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ৮ লেনের জাতীয় মহাসড়ক নির্মান করছে। ৮ লেনের এই মহাসড়ক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে বিভিন্ন যানবাহনের গন্তব্যে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অরগানাইজেশন (ওয়েস্ট) পদ্মা সেতু সংযোগকারী যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া এবং পাচ্চার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম ৪ লেন বিশিষ্ট জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবে।
৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েটি ৬২৫২.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে। এই এক্সপেসওয়েতে ৩১টি সেতু, ছয়টি ফ্লাইওভার, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস, ১৫টি আন্ডারপাস এবং ৩টি আন্তঃসংযোগস্থল থাকবে। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।