খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৪ আগস্ট ২০১৬: সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবস আমার জন্য কষ্টকর দিন। এই দিনে আমি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। আমার হাত বাঁধা ছিল।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় কে এম সফিউল্লাহ এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ‘৭১।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় সেনাপ্রধান ছিলেন কে এম সফিউল্লাহ।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদিবস আমার জন্য কষ্টকর একটি দিন। এই দিনে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। চারদিক থেকে আমার হাত বাঁধা ছিল।
আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়া যে জড়িত ছিলেন, সেটি তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া যায় না বলে এ মামলায় জিয়ার বিচার হয়নি। জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কেবল কয়েকজনের ষড়যন্ত্র ছিল না। এটি ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ওই ঘটনায় পর্দার আড়ালে যারা ছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচিত করা উচিত। জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার মিথ্যা জন্মদিন পালন করার পরিণতি ভালো হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান ৮ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল হান্নান খান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী ও ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালি উর রহমান, ফোরামের সহসভাপতি ও তৎকালীন টুঙ্গিপাড়ার পুলিশ কর্মকর্তা এডিআইজি নুরুল আলম, ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।