Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

1খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০১৬: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে প্রথমে ফুল দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে দলের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর স্থানটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন সেখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষও।
সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট কালো রাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল, মেজো পুত্র শেখ জামাল এবং তাদের স্ত্রী যথাক্রমে সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ২৮ সদস্য।
একই দিন ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু সুকান্ত বাবু, আরিফ, রিন্টু প্রমুখ। ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যকেই হত্যা করে।
কিন্তু দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। ঘাতকরা সেদিন বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদেরই কেবল হত্যা করেনি, বাঙালি জাতির আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। ৪১ বছর আগের সেই শোকাবহ দুঃসহ স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।