Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
080912_1955_Determinant11
খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০১৬: দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলা এক ইতিহাসের নাম হয়ে গেছেন উসাইন বোল্ট। আর সে কারণেই বোল্ট ইতিহাসের সাক্ষী হল রিও অলিম্পিকের এই আসর। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে টানা ১২ বছরের রাজত্ব ধরে রাখলেন জ্যামাইকার এই গতি দানব।
রিও অলিম্পিকের দশম দিনে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটা ২৫ মিনিটে আসরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ইভেন্টে বোল্টের প্রতিপক্ষ ছিলেন স্বয়ং বোল্ট। যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন এই জ্যামাইকান দৌড়বিদ। কিন্তু নিজের কাছে হেরে গেছেন এই গতি দানব। ৯.৬৩ মিনিটে লন্ডনে গড়া তার অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি। এবারের স্প্রিন্ট শেষ করেছেন ৯.৮১ সেকেন্ডে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন ৯.৮৯ সেকেন্ডে স্প্রিন্ট শেষ করে রূপা জেতেন। ৯.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন কানাডার অঁদ্রে দে গ্রাস। বেইজিংয়ে গত বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফিনিশিং অর্ডার এটাই ছিল।

১০০ মিটারে তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অবশ্য তার বার্লিনে ২০০৯ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে গড়া বিশ্ব রেকর্ড ৯.৫৮ সেকেন্ডের ধারে কাছে আসতে পারেনি। তবে বোল্ট নিজের পুরো ফর্মে না থাকলেও তাকে হারানো প্রায় অসাধ্যই।

সেমি-ফাইনালে অনায়াসে দৌড়ে ৯.৮৬ সময় নিয়ে বোল্ট ফাইনালে ওঠায় বোঝা গিয়েছিল ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ফাইনালে ধীর শুরুর পর ৭০ মিটার পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন। তবে বড় বড় পদক্ষেপে শেষ দিকে ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে সোনাজয়ী গ্যাটলিনকে ছাড়িয়ে যান বিশ্বের দ্রুততম মানব।

সেই ১২ বছর আগে জেতা অলিম্পিক খেতাবটা পুনরুদ্ধার করা আর সুযোগ পাচ্ছেন না ৩৪ বছর বয়সী গ্যাটলিন। ডোপিংয়ের অভিযোগ দুইবার নিষিদ্ধ থাকার পর ফিরে এসে এই বয়সেও বোল্টকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য তার; তা রিওর দর্শকরা যতই তাকে দুয়ো দিক।

অন্যদিকে বোল্ট মাঠে আসার পরই স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের মুখে কেবল তার নাম। গ্যাটলিন জিতলে ব্রাজিলের দর্শকদের আচরণে বিব্রতকর অবস্থাতেই পড়তে হতো আয়োজকদের।

২০০৮ সালে বেইজিং ও ২০১২ সালে লন্ডনে ১০০, ২০০ ও ৪*১০০ মিটার রিলেতে জয়ী বোল্টের অলিম্পিক সোনা হলো ৭টি। এই আসরে ২০০ আর ৪*১০০ মিটারের সোনা জিতলে হবে ঐতিহাসিক ‘ট্রিপল ট্রিপল’।

২০০৮ সালের অলিম্পিকে বিশ্বকে মোহিত করার পর অলিম্পিক আর অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপের মতো বড় আসরে একবারই কেবল তার তিনটি ইভেন্টের কোনো একটিতে সোনা হাতছাড়া হয়েছে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দেগুতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন। এছাড়া গত চারটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার ১১টি ইভেন্টের মধ্যে ১১টিতেই সেরা বোল্ট।

রিও ডি জেনিরোর এই আসর হতে যাচ্ছে ২৯ বছর বয়সী বোল্টের শেষ অলিম্পিক। গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, ২০১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পর অবসর নেবেন তিনি। এর আগে রিওতে বাকি দুটো ইভেন্টে সোনা জিতে বোল্টের ইতিহাস গড়ার চেষ্টায় চোখ থাকবে পুরো বিশ্ববাসীর। স্থানীয় সময় আগামী বৃহস্পতিবার হবে ২০০ মিটার দৌড়ের ফাইনাল।