নিহত বিএনপি নেতার সহোদর মো. আজাদ বলেন, শনিবার বিকালে ফজলুর রহমানের মরদেহ কলকাতা থেকে বিমানে ঢাকায় আনা হয়। রাত ৯টায় রাজধানীর বনশ্রী এলাকার একটি মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার সকাল ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে (নির্বাচনী এলাকা) আনা হয়। বাদ জোহর সেখানে জানাজা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ লালপুরের গৌরীপুরের নিজ বাসভবনে নেওয়া হয়। বাদ আসর গৌরীপুর স্কুল ও কলেজমাঠে সর্বশেষ জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জানাজা ও দাফনে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। নাটোরে মরদেহ পৌঁছার পর পরিবারের লোকজন ছাড়াও সেখানে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও আহাজারি করতে দেখা যায়। তার মৃত্যুতে লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় দলের নেতা-কর্মীরা তিন দিনব্যাপী শোক পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার রবীন্দ্রসদন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ ফজলুর রহমান পটল। ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে ফজলুর রহমান স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও পাঁচ ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। গত বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি কিডনি সমস্যাসহ নানাবিধ জটিল রোগে ভুগছিলেন।
ফজলুর রহমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। পরে ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি লালপুর-বাগাতিপাড়া আসন থেকে চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।