খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০১৬: নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ছয় মাসের অন্তর্র্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার জামিন আবেদন শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট পাবেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব জানিয়েছেন, আসলাম চৌধুরী বর্তমানে কারাগারে। তার বিরুদ্ধে আরো মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
এদিন আদালতে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব এবং অ্যাডভোকেট পাবেল মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।
নাশকতার অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে লালবাগ এবং মতিঝিল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। আজ (মঙ্গলবার) জামিন আবেদন করার পর ওই দুটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
এর আগে গত ১৮ জুলাই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
গত ২৬ মে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দলের এক সদস্যের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে ‘সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে পুলিশ।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী সম্প্রতি ভারতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক এবং বাংলাদেশ সরকারকে উচ্ছেদ করতে গোপন ষড়যন্ত্র করছেন বলে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়।
ইসরায়েলের প্রভাবশালী নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একাধিক ছবি এবং ইসরায়েলি একটি অনলাইনে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে।
যদিও পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কেউ নন। তাছাড়া ভারতে যে অনুষ্ঠানে আসলাম যোগ দিয়েছিলেন সেটি কোনো গোপন বৈঠক ছিল না। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে সরকার উৎখাতের কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়নি বলেও দাবি করেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।